বর্তমান সময়ে ই-মেইল শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণের ভরসাস্থল। ব্যাংকিং তথ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের লগইন কিংবা অফিসিয়াল নথি—সবই জমা থাকে ই-মেইলে। গুগলের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম জি-মেইল ব্যবহার করছেন বিশ্বজুড়ে প্রায় ২.৫ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ। এ কারণেই হ্যাকারদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য এখন জি-মেইল ব্যবহারকারীরা।

সম্প্রতি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হ্যাকাররা নিত্যনতুন কৌশলে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এমনকি গুগলের বিশাল ডেটাবেইস থেকেও তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি রয়েছে। তবে সচেতনতা ও কিছু কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে এ ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন—টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু রাখা, ফিশিং ই-মেইল এড়িয়ে চলা এবং নিয়মিত গুগল সিকিউরিটি চেকআপ ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের ওপর।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড মানে হলো এমন একটি কোড, যা অনুমান করা কঠিন এবং ভাঙতে দীর্ঘ সময় লাগে। এজন্য নিয়মিত সময় পর পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা প্রয়োজন এবং কোথাও লিখে রাখার অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে। কমপক্ষে ১২ অক্ষরের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে, যেখানে থাকবে বড় ও ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্ন যেমন (@, $, &, - ইত্যাদি)। জন্মতারিখ, নাম বা সহজে অনুমেয় তথ্য কখনোই পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, এক পাসওয়ার্ড একাধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার না করা, ইংরেজি অভিধানের প্রচলিত শব্দ এড়িয়ে চলা এবং আরও দীর্ঘ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। এভাবে একটি শক্তিশালী ও অনন্য পাসওয়ার্ড তৈরি করলে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।

সাইবার হুমকির এই যুগে ব্যবহারকারীর সামান্য সচেতনতা আর একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ডই হতে পারে জি-মেইল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।