সাকিব-হিরুর ব্যাংক হিসাব স্থগিতের চিঠি দুদকে পাঠাল বিএসইসি


ছবি : সংগৃহীত
পুঁজিবাজারের ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে তালিকাভুক্ত আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সেই তদন্তের ভিত্তিতে কোম্পানিটির সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তি ও চারটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি বিএসইসি থেকে দুদক চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএসইসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার মালিকানা গ্রহণের প্রক্রিয়ায় মিথ্যা তথ্যপ্রদান, জালিয়াতি ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক লেনদেন স্থগিতের সুপারিশ করা হয়েছে।
যাদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে তারা হলেন— কোম্পানির চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম শিকদার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুন্সী শফি উদ্দিন, সাবেক পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর ও পরিচালক (অব.) মোহাম্মদ খায়রুল বাশার। একইসঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠানের হিসাব স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলো হলো— লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মোনার্ক মার্ট লিমিটেড, মোনার্ক এক্সপ্রেস লিমিটেড এবং ইশাল কমিউনিকেশন লিমিটেড। এর মধ্যে মোনার্ক মার্ট ও মোনার্ক এক্সপ্রেস বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আলোচিত বিনিয়োগকারী আবুল খায়ের হিরুর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজের মাধ্যমে শেয়ার কেনা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলে কোম্পানিটির প্রায় অর্ধেক শেয়ারের মালিকানা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সাকিব ও হিরুর সহযোগীরা উল্লেখযোগ্য শেয়ার অর্জন করেছেন।
বিএসইসি জানায়, ২০২১ সালে ওটিসি মার্কেট বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর কোম্পানিগুলোকে তাদের আর্থিক সক্ষমতা অনুযায়ী এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ বর্তমানে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির ৫০ লাখ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৫০ শতাংশ শেয়ার, আর বাকি অংশ প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।