ইসরাইলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিমানবন্দর স্থবির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ এ ১১:১৩ এএম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে দখলদার ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থবির হয়ে পড়ে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা মেহের এ খবর প্রকাশ করে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দিকে নিক্ষিপ্ত একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পর ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বাজতে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে।

এদিকে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে জানান, অভিযানে দুটি ভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে—একটি ‘প্যালেস্টাইন–২ ক্লাস্টার’ ক্ষেপণাস্ত্র এবং অপরটি ‘জুলফিকার’। এর মাধ্যমে তেলআবিবের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

তার ভাষ্যমতে, হামলার ফলে হাজারো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্থগিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ অভিযানটি গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি ও ইয়েমেনের ওপর চালানো ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাব হিসেবে পরিচালিত হয়েছে। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পরবর্তী ধাপে ইয়েমেনি অভিযানের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।

এর আগে ইয়েমেনি সেনাবাহিনী ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরাইলের বিদ্যুৎকেন্দ্র, সামরিক স্থাপনা ও বন্দর লক্ষ্যবস্তু করার দাবি জানায়। এছাড়া লোহিত সাগরে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি কার্গো জাহাজেও হামলার খবর দিয়েছে ইয়েমেনি বাহিনী। তাদের দাবি, এসব হামলা সফলভাবে লক্ষ্যভেদ করেছে এবং গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজার ওপর ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই ইয়েমেন প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে। সেই ধারাবাহিকতায় ইসরাইলি শাসনের বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেনি সেনারা। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলও ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।