কুয়ালালামপুরে ইমিগ্রেশন অভিযানে ৩৭৭ বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার ৭৭০ অভিবাসী


কুয়ালালামপুরে ইমিগ্রেশনের অভিযান চলাকালীন দৃশ্য।ছবি:সংগৃহীত
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি পরিকল্পিত ও বিশেষ অভিবাসন অভিযানে মোট ৭৭০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৭৭ জন বাংলাদেশের নাগরিক। অভিযানটি পরিচালিত হয় মঙ্গলবার রাতে বুকিত বিনতাং এলাকার বিভিন্ন স্থানে, যা পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় ও জনবহুল।
ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক বাসরি ওথমান জানান, "অপ্স বেলাঞ্জা" নামে এ বিশেষ অভিযানটি স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। অভিযোগ ছিল, বুকিত বিনতাং অঞ্চলটি বহু বিদেশি নাগরিকের অবৈধ কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।
আটক হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি রয়েছেন মায়ানমারের ২৩৫ জন, ভারতের ৫৮ জন, নেপালের ৭২ জন এবং ইন্দোনেশিয়ার ১৯ জন নাগরিক। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আটককৃতদের মধ্যে একাধিক নারীও রয়েছেন, যারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাস করছিলেন কিংবা তাদের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী ১০৬ জন এনফোর্সমেন্ট অফিসার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এলাকাটি ঘিরে রেখে তল্লাশি চালান। দুই হাজার ৪৪৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, যার মধ্যে এক হাজার ৬০০ জন ছিলেন বিদেশি এবং বাকি ৮৪৫ জন স্থানীয়। অভিযানের সময় কিছু অভিবাসী দোকান বা ভবনের ছাদে লুকানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সবাইকে আটক করা সম্ভব হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এ অভিযানের সময় একটি অবৈধ অনলাইন জুয়ার আসরও চিহ্নিত করা হয়। এই কেন্দ্রটি সিসিটিভি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল এবং এখান থেকে আটজন বিদেশিকে জুয়া খেলার সময় আটক করা হয়।
আটককৃতদের পুত্রাজায়া ইমিগ্রেশন অফিসে প্রাথমিক স্ক্রিনিংয়ের পর ডিটেনশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইনের আওতায় তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পরিচালক বাসরি ওথমান আরও জানান, এমন অভিযান ভবিষ্যতেও নিয়মিত চলবে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মনিটরিং বাড়ানো হবে যেন তারা কেবল অনুমোদিত বিদেশি কর্মীকেই নিয়োগ দেন।