সাংবাদিক তুহিন হত্যায় ৮ জনের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করল জিএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
৯ আগস্ট, ২০২৫ এ ১১:১৯ এএম
জিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন। ছবি : সংগৃহীত

জিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন। ছবি : সংগৃহীত

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় সরাসরি আটজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে সাতজনকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (৯ আগস্ট) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। কমিশনার বলেন, গোলাপি নামে এক নারীর ফাঁদে পড়ে ব্যাংক থেকে টাকা তোলা বাদশাহ নামের ব্যক্তির সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক তুহিন মোবাইল ফোনে দৃশ্য ধারণ করলে আসামিরা তা দেখতে পায়। পরে ভিডিও মুছে না ফেলার কারণে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আসামিরা অপরাধ স্বীকার না করলেও সংগৃহীত প্রমাণই তাদের অপরাধ প্রমাণে যথেষ্ট হবে। এ সময় সাংবাদিক সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং নিহত তুহিনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। কমিশনার জানান, পুলিশ সদস্যের স্বল্পতার কারণে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় অপরাধ দমন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে, র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া স্বাধীন নামের এক আসামি ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার সকালে গাজীপুরের পোড়াবাড়ি র‍্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে কোম্পানি কমান্ডার কে এম এ মামুন খান চিশতী জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মহানগরীর শিববাড়ি এলাকা থেকে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, সাংবাদিক তুহিন দায়িত্ব পালনের সময় বাদশার সঙ্গে গোলাপির কথাকাটাকাটি হলে বাদশা তাকে থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে স্বাধীনসহ অন্যান্য আসামি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তুহিনকে আঘাত করে। এ সময় তুহিন ভিডিও ধারণ করলে আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।