নবীজি বলছেন, যোগ্য নেতা নির্বাচন করতে যা দেখা উচিত

ধর্ম ডেষ্ক
ধর্ম ডেষ্ক
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ এ ৫:০৪ এএম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

আমাদের সমাজ, প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রের সুশৃঙ্খল কার্যক্রমের জন্য যোগ্য নেতা নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। একজন নেতা তার অধীনস্থদের সুচারুরূপে পরিচালনা করবেন এবং তাদের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করবেন। ইসলামে নেতৃত্ব নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যখন তিনজন ব্যক্তি কোনো সফরে বের হবে, তখন তারা যেন তাদের একজনকে আমির বানিয়ে নেয়।” (আবু দাঊদ, হাদিস: ২৬০৯)। একজন নেতা সৎ ও সদাচারী হলে সমাজ শান্তিপূর্ণ থাকে, উন্নয়নের পথ সুগম হয়। কিন্তু যদি নেতা অসৎ হন, সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি বিরাজ করবে।

বর্তমান সময়ে নেতা বা জনপ্রতিনিধি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। তাই ভোটারদের সচেতন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অযোগ্য ব্যক্তিকে নেতৃত্বে বসালে সমাজে অরাজকতা সৃষ্টি হবে এবং সেই নির্বাচনের দায় ভোটারের উপরও বর্তাবে। নেতা নির্বাচনের আগে তার চরিত্র, নৈতিকতা ও সত্যবাদিতা যাচাই করা অপরিহার্য। নবীজি (সা.) বলতেন, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে নৈতিকতায় সর্বোত্তম।” (বুখারি, হাদিস: ৩৫৫৯)

নেতাকে জনদরদী হতে হবে। তিনি সব সময় অধীনস্থদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেবেন, তাদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকবেন এবং প্রতারণা করবেন না। নবীজি (সা.) বলেছেন, “যে আমিরের ওপর মুসলিমদের শাসনক্ষমতা অর্পিত হয়, অথচ সে তাদের কল্যাণে আন্তরিক না হয়, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করতে দেবেন না।” (মুসলিম, হাদিস: ৪৬২৫)

নেতার মধ্যে ন্যায়পরায়ণতা থাকা অত্যাবশ্যক। নবীজি (সা.) বর্ণনা করেছেন, “সাত শ্রেণির লোক কিয়ামতের দিন আল্লাহর ছায়ায় স্থান পাবে, যাদের একজন হলেন ন্যায়পরায়ণ শাসক।” (বুখারি, হাদিস: ৬৮০৬)। এছাড়া নেতাকে জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান হতে হবে। শিক্ষা ছাড়া জনগণের অধিকার রক্ষা করা সম্ভব নয়।

সচেতন ভোটার হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো যোগ্যতা যাচাই করে নেতা নির্বাচন করা। অযোগ্য নেতা নির্বাচন করা হবে আমানতের খেয়ানত, যার জন্য পরকালে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।