হাসপাতালের ভুল রিপোর্টের প্রতিবাদে অভিযোগ

টাঙ্গাইল (জেলা) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইল (জেলা) প্রতিনিধি
২৪ জুলাই, ২০২৫ এ ৫:০৮ এএম
হাসপাতালের ভুল রিপোর্টের প্রতিবাদে  লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইউনিটি ছবি : সংগৃহীত

হাসপাতালের ভুল রিপোর্টের প্রতিবাদে  লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইউনিটি ছবি : সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে নিউ আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালের ভুল রিপোর্টের প্রতিবাদে  লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার ভাইস চেয়ারম্যান তাপস কুমার সূত্রধর । 

বুধবার (২৩ জুলাই)  দুপুরে জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন  ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল বরাবর এই অভিযোগ দেন ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন জেলা শাখার ভাইস-চেয়াম্যান তাপস কুমার সূত্রধর। 

লিখিত অভিযোগে বলা হয় গত ২জুলাই ডাক্তার মাহমুদুল হাসান রনি  S.TSH টেস্ট করার জন্য বলেন আমার স্ত্রী ঐশীকে । এর পরবর্তীতে নিউ আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে টেস্টের জন্য রক্ত প্রদান করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ওই হাসপাতাল টেস্টের রিপোর্ট দেন ১৯.৩২। অপরদিকে টেস্টের রিপোর্ট দেখে ডাক্তার চমকে যান। যার প্রেক্ষিতে আবারো ডাক্তার মাহমুদুল হাসান রনি টাঙ্গাইল  শহরের আরো একটি ক্লিনিক মেডিনোভাতে ওই টেস্ট করার জন্য বলেন। এরপর পুনরায় গত ৩ জুলাই ওই টেস্ট করার জন্য রক্ত প্রদান করি মেডিনোভাতে। সেখানে রিপোর্ট আসে ৬.৩৮।

এ বিষয়ে তাপস কুমার সূত্রধর বলেন এইভাবে যদি রিপোর্টের ফলাফল আসে। তাহলে রোগীদের মৃত্যু ছাড়া কিছুই হতে পারে না। তিনি বলেন আমার স্ত্রীর মুখের ঘাট জন্য ডাক্তার মাহমুদুল হাসান রনির কাছে  যাই। রোগী দেখে ডাক্তার একটি টেস্ট দেয়। সেই টেস্ট অনুযায়ী ডাক্তারের কাছে সন্দেহ মনে হলে পুনরায় ওই টেস্ট করতে বলেন। 

তাপস কুমার সূত্রধর বলেন, টাঙ্গাইলে ব্যাঙের ছাতার মতো ক্লিনিক গজিয়েছে। সে সমস্ত ক্লিনিকের প্রশাসনের কোন নজরদারি নাই। 

বিশেষ করে শুক্রবার হলে কোথাকার ডাক্তার। কি তার ডিগ্রী কেউ জানে না। নাম সাইনবোর্ড দিয়েই চলছে ক্লিনিক মালিকরা। রোগী ও স্বজনরা জানেনা ডাক্তারের পরিচয়। আত্মবিশ্বাসে রোগী ডাক্তার দেখাচ্ছেন। সেই আত্মবিশ্বাসী কখন যেন একটি মানুষের প্রাণ চলে যায়। 

তাই প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি প্রতিটি ক্লিনিকের ডাক্তারের লিস্ট এবং ল্যাবের ল্যাপ টেকনিশিয়ানের লিস্ট সংগ্রহে রাখার জন্য। 

তিনি আরো বলেন ল্যাব টেকনিশিয়ান কোন রিপোর্ট দিতে হলে কঠোর জবাবদিহি থাকতে হবে। এমন কার্যকর ভূমিকা প্রশাসনের থাকলে স্বাস্থ্য খাতে ডাক্তার, ক্লিনিক মালিক, ল্যাপ টেকনিশিয়ান সহ সবাই সচেতন হত। 

ডা:মাহমুদ হাসান রনি বলেন, আগের রিপোর্ট অনুযায়ী রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করলে রোগী পঙ্গুত্ব অনিবার্য। তাই রিপোর্ট আমার কাছে সন্দেহ হাওয়াতে পুনরায় টেস্ট করতে বলি। 

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন মাহবুব আলম বলেন, আজকে ভুল রিপোর্টের প্রতিবাদে একটি অভিযোগ পেয়েছি।  যে বিষয়ে অভিযোগটি পেয়েছি সেটি যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হবে। 

তিনি আরো বলেন প্রতিটা ক্লিনিক মালিকদের  জবাবদিহি থাকতে হবে। এবং কি ক্লিনিক মালিকদের ডাক্তারদের সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা রাখার জন্য বলেছি। 
যাতে করে কোন ধরনের ভুয়া ডাক্তার ক্লিনিকে বসতে না পারে। 

আবু জুবায়ের উজ্জল