আ.লীগের ‘হত্যাযজ্ঞ ও দুর্নীতির ইতিহাস’ ভুলে গেলে চলবে না


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ঢাকায় এক কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের ‘হত্যাযজ্ঞ ও দুর্নীতির ইতিহাস’ ভুলে না যেতে জাতিকে সতর্ক করেন। ছবি: সংগৃহীত
‘বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক ধারাবাহিক কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ দাবি করেন, আওয়ামী লীগের ভোট আদায়ের আশায় কিছু রাজনৈতিক শক্তি সচেতনভাবে নীরব রয়েছে। তার মতে, এ ধরনের নীরবতা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।
তিনি বলেন, একাত্তরের চেতনা দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করার যে চেষ্টা অতীতে হয়েছে, তা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কখনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হাতে তুলে দেওয়া উচিত ছিল না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের ‘হত্যাযজ্ঞ ও দুর্নীতির ইতিহাস’ যেন জাতি ভুলে না যায়—এ সতর্কবার্তাও উচ্চারণ করেন বিএনপির এই নেতা।
সালাহউদ্দিন জানান, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আবেগের চেয়ে পরিকল্পনা ও বাস্তবতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানকে তিনি দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের সম্মিলিত রাজনৈতিক সংগ্রামের ফল হিসেবে উল্লেখ করেন।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথমদিকে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত সবাই তফসিলকে স্বাগত জানাতে বাধ্য হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, যুগপৎ আন্দোলনের অংশীদারদের সঙ্গে তৈরি বিএনপির ৩১ দফা এখন দেশের ‘মুক্তির সনদ’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, অতীতের গণতান্ত্রিক আন্দোলন, রক্তস্নাত ইতিহাস, দুর্নীতি এবং ‘হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ হত্যা’র মতো গুরুতর ঘটনাগুলোকে একটি দল ইচ্ছাকৃতভাবে আড়াল করার চেষ্টা করছে। শ্বেতপত্রে উল্লেখিত ২৯ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্যের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের শাসনামলে অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
শেষদিকে সালাহউদ্দিন বলেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত যারা বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী অবস্থান নিয়েছিল, তাদের ভূমিকাও জাতির সামনে তুলে ধরা জরুরি। তার ভাষায়, বর্তমান সমাজ অনেক সচেতন; তাদের কাছে আর ‘ধর্মের বড়ি’ বিক্রি করা সম্ভব নয়।









