বন্দর উন্নয়ন পরিকল্পনায় ‘সুখবর’ দিলেন বিডা চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ আগস্ট, ২০২৫ এ ৫:৩৩ এএম
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।  ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন চলতি বছরের শেষ নাগাদ চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), লালদিয়ার চর এবং বে-টার্মিনালে অপারেটর নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তার আশা, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বর্তমানের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।

গত রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে শিপিং ও লজিস্টিক এজেন্ট ডেস্কের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য দেন। এর পরদিন সোমবার (১১ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি বন্দরের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত লিখেন।

আশিক মাহমুদ উল্লেখ করেন, দেশের মোট বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশই সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে। তাই বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বন্দরের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। তার মতে, বন্দরগুলো নিজস্বভাবে বড় বিনিয়োগের কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ এককালীন প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই)।

তিনি আরও জানান, গত এক মাসে বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে এবং জাহাজ ক্লিয়ারেন্স সময় গড়ে আট ঘণ্টা কমে এসেছে। চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এই উন্নতি হয়েছে। একই সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষ আরটিজিএস, স্বয়ংক্রিয় টিকিটিং ও গেট সিস্টেম, অনলাইন এজেন্ট ডেস্কসহ নানা আধুনিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা কর্মদক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি দুর্নীতির সুযোগও কমিয়ে দিচ্ছে।

নতুন অপারেটর নিয়োগ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্দরের বর্তমান পারফরম্যান্স ভালো হলেও এর পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জনের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি। এজন্যই নতুন অপারেটর বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

আশাবাদ ব্যক্ত করে বিডা চেয়ারম্যান জানান, আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে সব জটিলতা দূর করার চেষ্টা চলছে এবং প্রতি সপ্তাহে বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তার আশা, চলতি বছরের শেষ নাগাদ যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে দেশের সব বন্দরের অপারেটর নির্বাচনের কাজ সম্পন্ন হবে।