উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত ২২, চিকিৎসাধীন ১৭১ জন


বিমান বিধ্বস্ত হওয়া ঘটনাস্থলের চিত্র। ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ জনে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৭১ জন, যাদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই মডেলের একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। উড্ডয়নের ১২ মিনিটের মাথায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানটিতে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির এককভাবে ছিলেন।
দুর্ঘটনার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়, এবং সেটি স্কুল ভবনের একটি অংশে আছড়ে পড়ে। এতে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকে হতাহত হন।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, রাত সাড়ে ১০টায় এবং ১২টার দিকে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়ায়।
আহত ও নিহতদের পরিসংখ্যান (হাসপাতালভিত্তিক):
১. কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল: আহত ৮, নিহত ০
২. জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট: আহত ৬৮, নিহত ৪
৩. ঢাকা মেডিকেল কলেজ: আহত ৩, নিহত ১
৪. সিএমএইচ-ঢাকা: আহত ১৭, নিহত ১২
৫. কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল: আহত ১, নিহত ২
৬. লুবনা জেনারেল হাসপাতাল: আহত ১১, নিহত ২
৭. উত্তরা আধুনিক হসপিটাল: আহত ৬০, নিহত ১
৮. উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল: আহত ১, নিহত ০
সর্বমোট আহত ১৬৯ জন এবং নিহত ২২ জন বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেয়। বিমান বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।