গণঅভ্যুত্থানের আত্মত্যাগ ভুলে গেলে চলবে না


ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মাদরাসা ছাত্রদের লড়াই স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠানে — শিক্ষা উপদেষ্টা। ছবি : সংগৃহীত
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন কিংবা দৃষ্টি হারিয়েছেন—জাতি হিসেবে আমরা তাঁদের ত্যাগ কখনও ভুলে যেতে পারি না। এমন আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
সোমবার (৫ আগস্ট), সায়দাবাদ সংলগ্ন গোলাপবাগ মাঠে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে ‘মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।‘জুলাই ২৪ পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’র অংশ হিসেবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আরও বলেন, “‘প্রেরণার প্রজন্ম’ প্রামাণ্যচিত্রে গণঅভ্যুত্থানের যে বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা আমাদের হৃদয়ে গভীর দাগ কাটে। দেয়ালে লেখা স্লোগান ও গ্রাফিটিগুলোর মাধ্যমে আমরা তরুণদের প্রত্যয় ও নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা দেখতে পাই, যা আমাদের নিত্যদিন মনে করিয়ে দেয় অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রেরণা।”
তিনি আরও বলেন, “এক সময় আমাদের দেশে গঠিত মিথ্যা ‘জঙ্গি নাটক’-এর নামে নিরীহ মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়েছিল। তখন মনে হয়েছিল আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারব না। কিন্তু এই গণঅভ্যুত্থান আমাদের আশার আলো দেখিয়েছে এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথ উন্মুক্ত করেছে।” অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, “পূর্ববর্তী শাসনামলে আলেম সমাজ গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। চব্বিশের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাদ্রাসার ছাত্র ও আলেমরা যে আত্মত্যাগ করেছেন, তা জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ একত্র হয়ে যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।”
‘মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে’ উপলক্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজনও করা হয়।