পিরিয়ডের সময় কেন অতিরিক্ত ঘুম পায়? জেনে নিন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা


ছবি : সংগৃহীত
পিরিয়ডের লক্ষণ সব নারীর ক্ষেত্রে একরকম হয় না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রকৃতি ও মাত্রা পরিবর্তিত হতে পারে। যেসব নারীর এই সময়ে তেমন সমস্যা হয় না, তারা ভাগ্যবতী। তবে বেশিরভাগ নারীই বিভিন্ন ধরণের অস্বস্তি অনুভব করেন। মাথাব্যথা, পায়ের অসাড়তা বা ঝিনঝিন ভাব, স্তনে ব্যথা এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি এর মধ্যে অন্যতম। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে অনেক নারী অতিরিক্ত ঘুম অনুভব করেন, যা আসলে শারীরিক ক্লান্তিরই বহিঃপ্রকাশ।
এসময় শরীর গড়পড়তার চেয়ে বেশি কাজ করে। হরমোনের পরিবর্তন, রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি ও মানসিক বিরক্তি শরীরকে দুর্বল করে ফেলে। বিশেষ করে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের ক্ষয় সেরোটোনিন নামক ঘুম নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনকে প্রভাবিত করে, যার ফলে নারীরা পিরিয়ডের সময় বেশি ঘুম ঘুম অনুভব করেন।
শুধু তাই নয়, রক্তক্ষরণের কারণে শরীরে শক্তি কমে যায় এবং অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়। এর প্রভাবে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ভারী রক্তপাতের কারণে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে ক্লান্তি আরও বাড়ে। ফলে যারা ভারী রক্তপাতের শিকার হন, তারা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি অবসাদ ও ঘুম অনুভব করেন।
অন্যদিকে, মাসিকের ব্যথা ও অস্বস্তি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াও আরামদায়ক ঘুমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই এই সময়ে অতিরিক্ত ঘুম ঘুম অনুভব করাটা স্বাভাবিক।
কী করবেন?
আয়রনসমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে।
কার্বোহাইড্রেটের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে, বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত চিনি এড়িয়ে চলতে হবে।
ক্যাফেইনের অতিরিক্ত ব্যবহার এড়াতে হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
হালকা হাঁটা বা যোগব্যায়ামের মতো শারীরিক কার্যকলাপ করতে হবে।
ঘুমের নিয়মিত সময়সূচী বজায় রাখতে হবে।