টানা দ্বিতীয় দিনে শাটডাউনে ফাঁকা রাবি

শিক্ষা ডেস্ক
শিক্ষা ডেস্ক
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ এ ৯:০১ এএম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে অচলাবস্থা। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের লাগাতার কর্মবিরতি এবং অফিসার্স সমিতির ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এর কারণে কার্যত ফাঁকা হয়ে পড়েছে পুরো ক্যাম্পাস।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে প্রশাসন ভবনসহ একাধিক একাডেমিক ও দাপ্তরিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। যদিও পরিবহন ও পানি-বিদ্যুৎ সেবা চালু রয়েছে, তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। ক্যাম্পাসে দোকানপাটও ছিল ফাঁকা। সকালে অনেক শিক্ষার্থীকে বাড়ির পথে রওনা হতে দেখা গেছে।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া বলেন, “আমরা পড়াশোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি, কিন্তু সংঘাতপূর্ণ পরিবেশের কারণে পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না, শিক্ষকরাও কর্মবিরতিতে আছেন। এতে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।”

অন্যদিকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, “ক্যাম্পাসে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আন্দোলনের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও বিভ্রান্ত। রাকসু নির্বাচন হবে কি না তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে।”

শিক্ষার্থী সংগঠনগুলোও ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “পোষ্য কোটা বাতিল ও নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন চাই। কিন্তু প্রশাসনের ভুল সিদ্ধান্তে পরিবেশ অস্থির হয়ে গেছে।” অপরদিকে ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্মের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীরের মতে, “এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব নয়। পূজার ছুটির পর নির্বাচন দেওয়া উচিত।”

এদিকে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) উপ-উপাচার্যকে শিক্ষার্থীরা আটকে রাখেন এবং তার বাসায় তালা ঝোলান। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপাচার্য ড. সালেহ্ হাসান নকীব পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। তবে তাতে উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে এখন অস্থিরতা বিরাজ করছে। আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, দোষীদের শাস্তি ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হলে রাকসু নির্বাচনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম নিয়ে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।