টি-টোয়েন্টিতে বড় জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ


ছবি : সংগৃহীত
সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ভুগছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তবে অবশেষে সেই বৃত্ত ভেঙে বেরিয়ে এলেন লিটন দাস ও শামীম হোসেন। তাদের ব্যাটে ভর করে ১৭৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে টাইগাররা। এরপর বল হাতে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে একশ রানের আগেই অলআউট করে দেয় শ্রীলঙ্কাকে। ফলে ৮৩ রানের বড় জয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন লিটন দাস। ৪৮ রান আসে শামীম হোসেনের ব্যাট থেকে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫ ওভার ২ বলে মাত্র ৯৪ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।
নতুন বলে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই পেসার শরীফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে লঙ্কান ব্যাটাররা। ইনিংসের শুরুতে রান আউট হয়ে ফেরেন কুশল মেন্ডিস, মাত্র ৫ বলে করেন ৮ রান।
পাওয়ার প্লের মধ্যেই আগুন ঝরান টাইগার পেসাররা। ৩০ রানের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডারের ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। শুরুতেই ধস নামায় লঙ্কান শিবিরে, যা থেকে তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত একশ রানের আগেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ হোসেন ৩টি, সাইফউদ্দিন ও শরীফুল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই শূন্য রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। পরের ওভারেই বিদায় নেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। মাত্র ৮ বলে ৫ রান করেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস। শান্ত ২৫ বলে ৩১ রান করে ফিরে গেলে ভাঙে ৬৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। এরপর ব্যর্থ হন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে লোয়ার-মিডল অর্ডারে ঝড় তোলেন শামীম হোসেন। মাত্র ২৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন বড় সংগ্রহ।
বিশেষ করে সমালোচনার মুখে থাকা লিটন দাসের ফর্মে ফেরা ছিল দলের জন্য বড় স্বস্তির জায়গা। তিনে নেমে ৫০ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ব্যাট হাতে জবাব দেন তিনি। ১৩ ইনিংস পর টি-টোয়েন্টি ফিফটির দেখা পান এই ডানহাতি ব্যাটার।
সবমিলিয়ে ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল টাইগাররা। সিরিজের নির্ধারক ম্যাচকে ঘিরে এখন বাড়ছে উত্তেজনা।
আজকের প্রথা/এআরএল