রিয়ালকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল পিএসজি


ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পিএসজির কাছে হেরে ফাইনালের স্বপ্ন ভেঙে গেল রিয়াল মাদ্রিদের। মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী পিএসজি যেন রীতিমতো ছেলেখেলা করেই ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দেয় ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লাবটিকে। এই জয়ের মাধ্যমে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল লুইস এনরিকের দল।
আগামী রোববার (১৩ জুলাই) ফাইনালে চেলসির মুখোমুখি হবে তারা।
ম্যাচজুড়ে কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে পিএসজি। প্রথম ২৫ মিনিটেই তিন গোল হজম করে দিশেহারা হয়ে পড়ে রিয়াল।
স্কোরলাইনের সূচনা করেন ফ্যাবিয়ান রুইজ। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে দেম্বেলের পাস থেকে দুর্দান্ত এক গোল করেন স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার। মাত্র তিন মিনিট পরই রিয়ালের ডিফেন্ডার রুডিগারের ভুলে বল পেয়ে যান দেম্বেলে, আর তা থেকে সহজেই পিএসজির দ্বিতীয় গোলটি করেন ফরাসি উইঙ্গার।
এর মাঝে কয়েকটি আক্রমণ ঠেকাতে পারলেও তেমন কোনো লাভ হয়নি কোর্তোয়ার। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে আবারও স্কোরশিটে নাম লেখান রুইজ। এবার গোলটি আসে আশরাফ হাকিমির দুর্দান্ত অ্যাসিস্ট থেকে। তিন গোলের বড় লিড নিয়ে বিরতিতে যায় পিএসজি, তখনই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় রিয়ালের বিদায়ঘণ্টা।
দ্বিতীয়ার্ধেও খুব একটা জোরালো প্রত্যাবর্তন দেখা যায়নি রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষ থেকে। বরং ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে গনকালো রামোস পিএসজির হয়ে চতুর্থ গোলটি করে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন। গোল করার পর তিনি সতীর্থ দিয়োগো জোটার স্মরণে তার ট্রেডমার্ক সেলিব্রেশনও করেন। গত ৩ জুলাই এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান জোটা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভা।
শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় ৪-০ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
পিএসজি ছাড়ার পর প্রথমবার সাবেক ক্লাব রিয়ালের মুখোমুখি হলেও কিলিয়ান এমবাপ্পে ছিলেন নিষ্প্রভ। অপরদিকে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিউস জুনিয়রকেও দেখা গেছে নিজের ছায়া হয়ে থাকতে।
আজকের প্রথা/ফা-আ