এবার ভোটের রাজনীতিতে নামতে পারেন মেসি


মেসি। ছবি: সংগৃহীত
লিওনেল মেসি, ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়, তার ক্যারিয়ারের প্রায় সব সাফল্যই ইতোমধ্যেই ছুঁয়ে ফেলেছেন। বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ব্যালন ডি’অর—ক্রীড়াঙ্গনে আর কিছু পাওয়ার বাকি নেই তার। তবে এবার মাঠের বাইরেও আলোচনায় আসতে চলেছেন তিনি। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বার্সেলোনা ক্লাবের আসন্ন নির্বাচনে কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ত হতে পারেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
১৭ বছর ধরে বার্সেলোনার হয়ে খেলার সুবাদে মেসি শুধু একজন খেলোয়াড় নন, বরং ক্লাবটির ইতিহাসের অংশ। আগামী বছর ক্লাবের নতুন নির্বাচনকে ঘিরে তার সম্পৃক্ততার খবর পাওয়া গেছে। যদিও মেসি প্রত্যক্ষ প্রার্থী হবেন কিনা কিংবা অন্য কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
বার্সেলোনার বর্তমান সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা পুনরায় প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। তবে মেসির সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা তাকে চাপে ফেলতে পারে। কারণ, মেসি ও লাপোর্তার মধ্যে সম্পর্ক বহুদিন ধরেই ঠাণ্ডা। ২০২১ সালের নির্বাচনে লাপোর্তা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মেসিকে ক্লাবে রাখার, কিন্তু আর্থিক সংকটের অজুহাতে সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হয়। মেসির দৃষ্টিতে এটি ছিল একধরনের বিশ্বাসঘাতকতা। এরপর তিনি যোগ দেন পিএসজিতে, যা থেকে দু’পক্ষের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।
স্প্যানিশ গণমাধ্যম জানিয়েছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে মেসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে লাপোর্তার প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির থেকে। যদি মেসি অন্য কোনো প্রার্থীকে সমর্থন করেন, তবে ফলাফলে নাটকীয় পরিবর্তন আসতে পারে। কারণ, বার্সেলোনার সমর্থকদের কাছে মেসি কেবল কিংবদন্তি নন, বরং আস্থার প্রতীক।
এবারের নির্বাচনে লাপোর্তার বিপক্ষে ভিক্টর ফন্ট ও জোয়ান কামপ্রুবি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। ডাবল জয়ের মৌসুমেও লাপোর্তার জয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আর মেসি যদি বিপক্ষে অবস্থান নেন, তবে তার জয়ের পথ আরও কঠিন হবে।
এখন প্রশ্ন হলো—মেসি সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেবেন নাকি দূরে থাকবেন? তবে এরই মধ্যে বার্সা সমর্থকদের চোখ তার দিকে। কারণ, ফুটবলের মাঠের মতো নির্বাচনের মাঠেও মেসি যে বড় প্রভাব ফেলতে পারেন, তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই।