শুনতে স্বপ্নের মতো হলেও নাসা সেটিকেই বাস্তবে রূপ দিচ্ছে। ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে ‘আর্টেমিস ২’ মিশনে চার নভোচারীর সঙ্গে লাখো মানুষের নামও চাঁদে পাঠানো হবে। এজন্য কোনো অর্থ খরচ করার প্রয়োজন নেই। শুধু নাসার ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম ও ইমেইল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলেই মিলবে একটি ডিজিটাল বোর্ডিং পাস। এরপর সেই নামগুলো একটি মেমোরি কার্ডে সংরক্ষণ করে ওরিয়ন মহাকাশযানে পাঠানো হবে।

প্রায় ৫০ বছর পর এটি হবে অ্যাপোলো ১৭-এর পর চাঁদে মানুষের প্রথম মিশন। যদিও ওরিয়ন মহাকাশযান সরাসরি চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে না, তবে এটি প্রায় ৭ হাজার ৪০০ কিলোমিটার ওপরে প্রদক্ষিণ করবে। এই অভিযানে মহাকাশযানটির সিস্টেম, দিকনির্দেশনা ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা করবেন চার নভোচারী। তাদের মধ্যে রয়েছেন কমান্ডার রিদ ওয়াইজম্যান, ভিক্টর গ্লোভার, ক্রিস্টিনা কচ এবং জেরেমি হ্যানসেন।

বিশ্বের যে কোনো দেশের মানুষ, যে কোনো বয়সের ব্যক্তিই এই অভিযানের প্রতীকী অংশ হতে পারেন। ২০২৬ সালের ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ খোলা থাকবে। এক কথায়, মহাকাশ অভিযানে নিজের নামের ছাপ রাখার এক অনন্য সুযোগ প্রদান করছে নাসা।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ চাঁদ অভিযানকে আরও কাছ থেকে অনুভব করতে পারবে। এটি নাসার ইতিহাসে নতুন এক ধারা সূচনা করবে, যেখানে প্রযুক্তি ও মানুষের অংশগ্রহণ একসঙ্গে মিলিত হচ্ছে।

নাসার ওয়েবসাইটে সহজ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর নামের একটি স্থায়ী স্মৃতি চাঁদের মিশন দ্বারা তৈরি হবে। এটি কেবল প্রতীকী হলেও, ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণায় মানুষের আগ্রহকে আরও বাড়াবে।