টিকটক নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পিছু হটলেন ট্রাম্প


টিকটক। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু পরিস্থিতি আমূল বদলে গেছে। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি কার্যালয় হোয়াইট হাউস নিজেই টিকটকে অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট চালু করেছে। মঙ্গলবার খোলা অ্যাকাউন্টটির প্রথম পোস্টেই লেখা হয়, “আমেরিকা, আমরা ফিরে এসেছি! কেমন আছো টিকটক?”—এর সঙ্গে প্রকাশ করা হয় ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও। প্রকাশের মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই এতে যোগ হয় প্রায় সাড়ে চার হাজার অনুসারী।
এ খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান। প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের নিজের ব্যক্তিগত টিকটক অ্যাকাউন্টেও এখন ১ কোটি ৫১ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে। যদিও তার সর্বশেষ পোস্ট ছিল গত ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর নির্বাচনের দিনে। ট্রাম্প প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, তরুণ ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে টিকটক তার জন্য বড় ভূমিকা রেখেছে। এমনকি এটি তাকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করতে সহায়তা করেছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন যত বেশি সম্ভব দর্শকের কাছে পৌঁছাতে এবং তার ‘ঐতিহাসিক সাফল্য’ তুলে ধরতে টিকটকসহ সব প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগাতে চায়।
তবে বিতর্কের জায়গা রয়েই গেছে। গত বছর মার্কিন কংগ্রেস জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে টিকটক নিষিদ্ধের আইন পাস করে। আদালতের দীর্ঘ লড়াই শেষে সুপ্রিম কোর্টও সেটিকে বহাল রাখে। আইন অনুযায়ী ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম চালাতে হলে বিক্রি করতে হবে। অন্যথায় নিষিদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জানুয়ারিতে শপথ নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প কয়েক দফায় সময়সীমা বাড়িয়েছেন। সর্বশেষ জুনে তিনি আরও ৯০ দিনের অতিরিক্ত সময় দেন, যা শেষ হবে আগামী সেপ্টেম্বরে।
ট্রাম্প প্রথমে টিকটক নিষিদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিলেও পরবর্তীতে কৌশল পাল্টান। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি টিকটকে সক্রিয় হয়ে বিপুল সংখ্যক ফলোয়ার অর্জন করেন। এমনকি টিকটকের সিইও শৌ জি চিউকে ফ্লোরিডায় তার মার-আ-লাগো এস্টেটে আতিথ্যও দেন। এরপর ঘোষণা দেন, তিনি টিকটককে রক্ষা করবেন। বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রায় ১৭ কোটি মানুষ টিকটক ব্যবহার করে, আর বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০০ কোটি।