সোহরাওয়ার্দীতে জামায়াতের প্রথম একক ‘জাতীয় সমাবেশ’


ছবি : সংগৃহীত
সাত দফা দাবিতে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ শনিবার (২০ জুলাই) প্রথমবারের মতো এককভাবে সমাবেশ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দুপুর ২টায় সমাবেশের আনুষ্ঠানিক সূচনা হলেও সকাল থেকেই উদ্যানে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যা থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত জামায়াত নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাগম। সমাবেশের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক মাঠে নতুনভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করতেই এই আয়োজন।
জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াত অতীতে কখনো দলীয়ভাবে একক সমাবেশ করেনি। এবারই প্রথম। এর আগে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক জোটের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।
দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান আজকের সমাবেশ থেকে নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন। মূল বক্তব্যে থাকছে গণহত্যার বিচার, সংস্কার শেষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং ‘চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থান’-এর চেতনায় একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান।
সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় পর্যায়ের নেতারা, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, অন্যান্য দলের নেতা এবং জুলাই শহীদ পরিবারের প্রতিনিধিরা। সমাবেশের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ১০০ ফুট লম্বা ও ৩৬ ফুট প্রশস্ত মঞ্চ, যেখানে থাকবে এলইডি মনিটর, আধুনিক আসন ব্যবস্থা ও নানা প্রযুক্তি সুবিধা।
ঢাকা ও আশেপাশের জেলা—গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখো লোক অংশ নিচ্ছেন বলে দলটির দাবি। রিজার্ভ করা হয়েছে ১০ হাজারের বেশি বাস, ট্রেন ও লঞ্চ। দক্ষিণাঞ্চল থেকে অনেকেই শুক্রবার রাতেই রওনা দিয়েছেন।
সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ছাউনি, মেডিকেল টিম, নিরাপত্তা বাহিনী, নামাজ ও অজুর স্থান এবং পর্যাপ্ত টয়লেট সুবিধা। এ লক্ষ্যে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছে জামায়াতের প্রতিনিধিদল।
তৃতীয় ধাপের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন নানা উত্তেজনা চলছে, তখন জামায়াতের এই ‘জাতীয় সমাবেশ’ তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতার বড় বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দলটির নেতাদের ভাষ্য, এই সমাবেশের মাধ্যমে তারা আগামী দিনের রাজনীতিতে নিজেদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরতে চায়।
আজকের প্রথা/এআর