“সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে জামায়াতের ঢল: ৭ দফা দাবিতে জাতীয় সমাবেশ”


কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে জনস্রোত নেমেছে। সমাবেশ শুরুর ছয় ঘণ্টা আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় উদ্যান। সমাবেশস্থলের বাইরেও অবস্থান করছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী।
জুলাই গণহত্যার বিচার, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা ও মৌলিক সংস্কারসহ সাত দফা দাবিতে এই সমাবেশ আহ্বান করেছে জামায়াত। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত ১০ লাখ নেতা-কর্মীর উপস্থিতি আশা করা হচ্ছে। ফজরের নামাজের পর থেকেই নেতাকর্মীরা ঢুকে পড়েন উদ্যানে।
বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত জামায়াত কর্মীরা মিছিল সহকারে রাজধানীতে পৌঁছান। অনেকেই দাাঁড়িপাল্লা প্রতীক ও মনোগ্রামযুক্ত টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি পরে সমাবেশে অংশ নেন।
সমাবেশ সফল করতে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশেই দায়িত্বে আছেন ৬ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক। হাইকোর্ট, শাহবাগ, মৎস্যভবনসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরা। নির্দিষ্ট গেট দিয়ে আগতদের প্রবেশে সহযোগিতা করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
মৎস্যভবন এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রধান মাসুদুর রহমান বলেন, "রাজধানীজুড়ে ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক সমাবেশে আগতদের সহযোগিতা করছেন। শুধু আশপাশেই কাজ করছেন ৬ হাজার জন।"
ভোর থেকেই ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের। শুক্রবার রাতেও অনেকে সেখানে অবস্থান নেন।
জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত সাত দফা দাবিগুলো হলো:
১. ২০২৪ সালের ৫ আগস্টসহ অন্যান্য সময় সংঘটিত সব গণহত্যার বিচার।
২. রাষ্ট্রের সর্বস্তরে মৌলিক সংস্কার।
৩. ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন।
৪. অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন।
৫. জনগণের মতামতের প্রতিফলনে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন।
৬. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।
৭. রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।
আজকের প্রথা/এআর