ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ দাবি জানাল ইসলামী আন্দোলন


গণভোটের পর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ—রোববার দলের জরুরি বৈঠকে বক্তব্য দেন মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে গণভোটের পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দাবিগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দলটি তৃতীয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক জরুরি বৈঠকে দলের যুগ্ম-মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এই পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দেশের জনগণ রক্ত ও ত্যাগের মাধ্যমে গণতন্ত্রের যে দাবিগুলো উত্থাপন করেছে, তার বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
দলের ঘোষিত অন্য চারটি দাবি হলো— আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিকে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদন দেওয়া, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সকলের জন্য সমান সুযোগের ক্ষেত্র (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করা, বর্তমান সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
গাজী আতাউর রহমান বলেন, “২৪-এর জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে যে দাবি প্রতিষ্ঠা করেছে, সেই দাবির স্বীকৃতির জন্য আমাদের এখনও রাজপথে লড়তে হচ্ছে—এটি জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সেই রক্তের ঋণ শোধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।”
তিনি আরও জানান, এর আগে দলটি দুই দফা কর্মসূচি পালন করেছে। দ্বিতীয় দফায় ১ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত দেশব্যাপী গণসংযোগ ও বিভাগীয় শহরে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। আজ সারাদেশের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ দলটিকে নতুন আন্দোলনের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে বলে জানান তিনি।
তৃতীয় দফা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৪ অক্টোবর ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন এবং ১৫ অক্টোবর সারাদেশের সব জেলায় একই সময়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষ এতে অংশ নেবে।