বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছেন—দলের ভেতরে বিভেদ নয়, বরং ঐক্যই আগামী রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মূল চাবিকাঠি। সোমবার শেষ দিনে সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ বার্তা দেন। তিনি বলেন, দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, নইলে প্রতিপক্ষ সুযোগ নেবে।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তারেক রহমান জানান, চলতি মাসের মধ্যেই অন্তত ২০০ আসনে একক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। এক আসনে এক প্রার্থী—এই নীতিতেই বিএনপি নির্বাচন করবে বলে তিনি স্পষ্ট করে দেন। যারা মনোনয়ন পাবেন না, তাদেরও দলের স্বার্থে পুরস্কৃত করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সভায় উপস্থিত নেতাদের মধ্যে অনেকে জানান, তারেক রহমান সভায় বারবার ঐক্য ও শৃঙ্খলা রক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, মনোনয়ন পাওয়ার পর কোনো আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ বা ফুল দেওয়া যাবে না। এমন আচরণ দলের ভেতরে বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেন। একই সঙ্গে ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিকাল থেকে শুরু হওয়া সভায় সিলেট বিভাগের ৬৬ জন এবং খুলনা বিভাগের ডজনখানেক মনোনয়নপ্রত্যাশী অংশ নেন।

সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ বলেন, সভায় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে দল একজনকেই মনোনয়ন দেবে এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষের বিজয়ের জন্য কাজ করতে হবে। খুলনা-৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী পারভেজ মল্লিক বলেন, নেতারা সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন, কারণ এখন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের সময় চলছে।

রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের বৈঠকেও তারেক রহমান একই বার্তা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বিএনপির লক্ষ্য কেবল নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়, বরং দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। এজন্য প্রত্যেক নেতাকর্মীর ত্যাগ ও ঐক্য অপরিহার্য। তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, গত ১৬ বছর ধরে খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও সংগ্রাম দলের মূল প্রেরণা হিসেবে কাজ করছে।