হামাসের অভিযোগ

যুদ্ধবিরতির তথ্য বিকৃত করছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
২৭ জুলাই, ২০২৫ এ ৩:১০ এএম
গাজা । ছবি: সংগৃহীত

গাজা । ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আলোচনার অবস্থান বিকৃতভাবে উপস্থাপনের অভিযোগ এনেছে। সেইসঙ্গে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভাকে যুদ্ধবিরতির প্রধান বাধা হিসেবে অভিহিত করেছে।

মেহর নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশক এক বিবৃতিতে বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার দূত উইটকফের বক্তব্য আমাদের স্তব্ধ করেছে। এই বক্তব্যগুলো মধ্যস্থতাকারীদের মূল্যায়নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং আমাদের অবস্থানকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে।”

এর আগে শুক্রবার ট্রাম্প হামাসকে যুদ্ধবিরতি ভাঙনের জন্য দায়ী করে বলেন, "এই গোষ্ঠী এখন শিকার হবে।" এর পরদিন উইটকফ জানান, হামাসের “যথেষ্ট সদিচ্ছা নেই”, এই অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় তাদের সম্পৃক্ততা হ্রাস করছে।

তবে হামাস বলছে, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা তাদের গঠনমূলক ও ইতিবাচক অবস্থান স্বীকার করেছে। হামাসের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যগুলো বাস্তবতা থেকে দূরে এবং নেতানিয়াহুর সরকারই প্রধান বাধা।

মানবিক সহায়তা চুরির অভিযোগের জবাবে আল-রিশক বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৫৬টি ঘটনার মধ্যে অন্তত ৪৪টি ইসরাইলি সামরিক অভিযানের ফল।”

তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানান, “ইসরাইলের আগ্রাসনের দায় এড়ানোর পথ বন্ধ করুন এবং বাস্তব চাপ দিন যেন আগ্রাসন থামে ও বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়।”

কাতারে এখনও পরোক্ষভাবে আলোচনা চলছে। তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনো চুক্তি হয়নি। ইসরাইল বলছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র-কাতারের হালনাগাদ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, কিন্তু বাস্তবে কোনো চুক্তি হয়নি।

প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে ৭ অক্টোবর ২০২৩-এর হামলায় আটক ২৫১ জন ইসরাইলির মধ্যে ৪৯ জন এখনও হামাসের হাতে বন্দি রয়েছে। ইসরাইল চায় হামাসের সামরিক কাঠামো বিলুপ্ত হোক, আর হামাস চায় যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ হোক, গাজা থেকে ইসরাইলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং অবাধ মানবিক সহায়তা।