কেন খেজুর খাওয়া জরুরি?

আজকের প্রথা প্রতিবেদন
আজকের প্রথা প্রতিবেদন
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ এ ১১:৩৯ এএম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

স্বাস্থ্যকরভাবে মিষ্টি খেতে চাইলে খেজুর একটি চমৎকার বিকল্প। খেজুর খেতে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়, তবুও এতে ক্যালোরি কম থাকে। এই পুষ্টিকর ফলটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ এবং এটি অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আসে। নিয়মিত খেজুর খেলে সুস্থ থাকা সহজ হয়। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং বি-ভিটামিন। এছাড়াও আছে ফাইবার এবং প্রাকৃতিক শর্করা, যা দেহের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়ক।

ফাইবারের চমৎকার উৎস:
৩.৫ আউন্স খেজুরে প্রায় ৭ গ্রাম ফাইবার থাকে। এটি হজমের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত ফাইবার গ্রহণ কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং অন্ত্রের সুস্থ মাইক্রোবায়োম বজায় রাখতে সাহায্য করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর:
খেজুরে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যার মধ্যে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক অ্যাসিড অন্তর্ভুক্ত। এই যৌগগুলো প্রদাহ হ্রাস করে এবং কোষকে ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এতে দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমে।

প্রাকৃতিক শ্রম বৃদ্ধি:
গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থার শেষ সপ্তাহগুলোতে খেজুর খেলে প্রসব বেদনা কমানো যায়। এটি সার্ভিকাল প্রসারণে সাহায্য করে, ফলে সময়মতো শিশুর জন্ম সহজ হয়।

প্রাকৃতিক মিষ্টি:
খেজুর পরিশোধিত চিনির চেয়ে স্বাস্থ্যকর বিকল্প। এর প্রাকৃতিক মিষ্টিতে ফাইবার এবং পুষ্টি বেশি থাকে। এটি বেকিং, স্মুদি বা প্রাকৃতিক সিরাপ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে:
খেজুরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে ফ্ল্যাভোনয়েড, মস্তিষ্কের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেজুর খেলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে এবং নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

প্রাকৃতিক শক্তি বৃদ্ধি:
গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা খেজুরকে দ্রুত শক্তি যোগায়। বিশেষ করে ব্যায়ামের আগে খেজুর খেলে কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। প্রক্রিয়াজাত চিনি না খেয়ে টেকসই শক্তি পাওয়া যায়।

হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে:
খেজুরে হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম থাকে। নিয়মিত খেজুর খেলে হাড় শক্তিশালী হয় এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমে।

রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
মিষ্টি হলেও খেজুরের গ্লাইসেমিক সূচক কম। এটি রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায় না। ফাইবার চিনির শোষণ ধীর করতে সাহায্য করে এবং রক্তের সুস্থ মাত্রা বজায় রাখে।