সারাদেশে শুরু হলো টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি

স্বাস্থ্য ডেস্ক
স্বাস্থ্য ডেস্ক
১২ অক্টোবর, ২০২৫ এ ৪:৪৫ এএম
স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সারাদেশে একযোগে শুরু হলো টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই জাতীয় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, “টাইফয়েডে এখনও শিশুদের মৃত্যু হয়—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ইতোমধ্যে ডায়রিয়া ও রাতকানার মতো অনেক রোগ প্রতিরোধে সফল হয়েছি। এবার টাইফয়েড নির্মূলেও সফল হব ইনশাআল্লাহ।” তিনি আরও বলেন, “রোগ প্রতিরোধই এখন প্রধান লক্ষ্য। যত বেশি মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা টিকার আওতায় আসবে, ততই হাসপাতালের চাপ কমবে এবং মৃত্যুহার হ্রাস পাবে।”

নূরজাহান বেগম আরও বলেন, “টাইফয়েড একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। সচেতনতা এবং টিকাদানের মাধ্যমে আমরা এটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। প্রতিটি শিশুর কাছে এই টিকা পৌঁছে দিতে পারলে দেশে টাইফয়েডে মৃত্যুর ঘটনা প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। তিনি বলেন, “এই টিকাদান কর্মসূচি শুধু একটি স্বাস্থ্য প্রকল্প নয়, এটি শিশুস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। টাইফয়েড বহুদিন ধরে নিম্নআয়ের পরিবারের জন্য নীরব হুমকি হয়ে ছিল। সরকারের এই পদক্ষেপ সেই ঝুঁকি কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”

এক মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে বিনামূল্যে এক ডোজ ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, জন্মসনদ না থাকলেও কোনো শিশু এই টিকা থেকে বঞ্চিত হবে না। উল্লেখ্য, এই টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে এবং এটি সরকার পেয়েছে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন সহায়তা সংস্থা গ্যাভির সহায়তায়।