ট্রাম্প-শি ফোনালাপে টিকটক চুক্তিতে অগ্রগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ এ ৫:৪০ এএম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে সাম্প্রতিক ফোনালাপে টিকটক চুক্তি নিয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। দুই শীর্ষ নেতা আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বৈঠক করবেন বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

এটি ছিল প্রায় তিন মাস পর দুই নেতার প্রথম সরাসরি ফোনালাপ। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় টিকটক ইস্যু ছাড়াও বাণিজ্য, ফেন্টানিল সংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ট্রাম্প জানিয়েছেন, শি জিনপিং প্রাথমিকভাবে টিকটক চুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন। তবে চীনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সরাসরি চুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়নি।

মার্কিন কংগ্রেস আগেই আইন পাস করেছে, আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত টিকটকের মার্কিন সম্পদ বিক্রি না হলে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ট্রাম্প-শি ফোনালাপকে সংকট নিরসনে বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। দুই নেতা আগামী অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজুতে অনুষ্ঠিতব্য এপেক সম্মেলনের ফাঁকে মুখোমুখি বৈঠক করবেন। এছাড়া ট্রাম্প আগামী বছর চীন সফর এবং পরে শি’র যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছেন।

রয়টার্সের তথ্যমতে, টিকটকের মার্কিন সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে অ্যালগরিদমের নিয়ন্ত্রণ বাইড্যান্সের হাতেই থাকবে, যা নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের শঙ্কা রয়ে গেছে। তাদের আশঙ্কা, এ অ্যালগরিদমের মাধ্যমে চীন মার্কিন ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি চালাতে পারে। অন্যদিকে বাইড্যান্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য সেবা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আইনি কাঠামো মেনেই কার্যক্রম চালাবে।

টিকটক ছাড়াও ট্রাম্প ও শির আলোচনায় বাণিজ্য শুল্ক, ফেন্টানিল ইস্যু এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীনের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন, ফলে দুই দেশের মধ্যে শুল্কহার তিন অঙ্ক ছাড়িয়েছে। তবে তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে দুই পক্ষ কোনো স্পষ্ট অবস্থান জানায়নি।