পরিবর্তিত আবহাওয়ায় প্রয়োজন সচেতনতা


পরিবর্তিত আবহাওয়ায় প্রয়োজন সচেতনতা | প্রবন্ধ: সাইফুল্লাহ বিন মানসুর
বহমান নদীকে বাঁধা প্রদান করলে নদী তার সরলতা হারায়।অবরুদ্ধ নদী তার শ্রোতধারাকে অবজ্ঞা করে থেমে থাকতে জানেনা। নদী খোঁজে নেয় তার নতুন পথ।নতুন সে পথ নদীকে করে জটিল।নীল আকাশ,প্রকৃতির মোহনীয় লাবন্য,সমুদ্রের উন্মত্ততা,চাঁদের অপরুপ সাঁজ সবই মানব হৃদয়ে সৃষ্টি করে এক প্রশান্তির ছোঁয়া।শাপলার নিষ্কলুষ শুভ্রতা,সবুজ শ্যমলের অমলুক ছোঁয়া,পাখির কলতান ও মাটির টান মানুষকে দেয় এক পবিত্র স্পর্শ।প্রশান্তির পিয়াসী মানব হৃদয় সর্বদা আকুল চিত্তে কাকুতি জানায় প্রকৃতির মাঝে মিশে যেতে।কিন্তু যান্ত্রিক এই যুগে প্রযুক্তির বিকাশে মানুষও প্রতিনিয়ত বিকশিত হচ্ছে যান্ত্রিক রুপে।ফলে মানুষ হারাচ্ছে তার স্বাভাবিকতা।নবরুপে সাঁজতে যেয়ে মানুষ হচ্ছে জটিল থেকে জটিলতর।যে মানুষের জন্ম চিরশান্তির বাগিচা নিঃশব্দ জান্নাতে সে মানুষ কলকারখানার কোলাহলে স্বভাবতই নিরুত্তর।"সবার আগে নিজকে জানো"মানুষ তার নিজেকে চিনেছে প্রকৃতির নির্মলতায়।তাই নিজের সাথে নিজের সংগ্রামে মানুষ আজ অতিষ্ঠ।ফলে সৃষ্টি হচ্ছে অসুস্থতা,রুগ্নতা,সাংস্কৃতিক জীবনে উম্মক্ততা,ভ্রাতৃত্বে ও আত্বীয়তায় নিঃসংগতা।যে সৃষ্টি প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে একাকার সে সৃষ্টি আজ যন্ত্রের মোর্ছনায় বরই রুগ্ন।
একদিকে প্রকৃতি ও প্রযুক্তির সাথে যুদ্ধ অপরদিকে প্রকৃতির রুপের পরিবর্তনে নিজেকে মেলানো।অক্টোবর ২০২৫ এমনি এক প্রকৃতির রুপান্তরে শীতের মৃদু নিমন্ত্রণ ও তাপদাহের বিদায়ী পত্রের সন্ধিক্ষণে আবর্তিত।
আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের কারণে মানুষের শরীরে দেখা দেয় নানা ধরনের রোগ বা শারীরিক সমস্যা।আবহাওয়ার হঠাৎ গরম থেকে ঠান্ডা বা ঠান্ডা থেকে গরমে রুপায়নের ফলে আর্দ্রতা ও বাতাসের গুণমানের পরিবর্তন ঘটে এবং এর প্রভাব সরাসরি আমাদের শরীরের উপর পড়ে।ফলে সাধারণত চোখ চুলকানো,হাঁচি,নাক বন্ধ বা পানি পড়া, ত্বকে চুলকানি,ভাইরাল ফ্লু,সর্দি,কাঁশি,শ্বাসকষ্ট,ত্বকের নানাবিধ সমস্যা,মানসিক বিষণ্নতা (depression) বা মেজাজের ভারসাম্যহীনতা (বিশেষ করে শীতকালে, যাকে বলে "Seasonal Affective Disorder") ইত্যাদি দেখা দেয়।তাই এসময় দরকার শিশুদের প্রতি অত্যধিক যত্নশীল হওয়া এবং পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সচেতনতা।প্রয়োজন আবহাওয়ার সাথে মিলিয়ে পোশাকের ব্যাবহার,পানি পান ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহন,প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন।