সাবেক এমপি এইচবিএম ইকবালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

জাতীয় ডেস্ক
জাতীয় ডেস্ক
১০ অক্টোবর, ২০২৫ এ ৪:২৩ এএম
দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য এইচবিএম ইকবাল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত ও মামলার সিদ্ধান্ত। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য এইচবিএম ইকবাল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত ও মামলার সিদ্ধান্ত। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক সংসদ সদস্য ডা. হেফজুল বারি মোহাম্মদ ইকবাল (এইচবিএম ইকবাল) ও তার ছেলে ইমরান ইকবালের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পী এবং অপর পুত্র মঈন ইকবালের নামে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে গণমাধ্যমকে জানান, ডা. ইকবালের বিরুদ্ধে ৬২ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৮২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা রুজুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৯৮ কোটি ৭০ লাখ টাকার বেশি, যার বিপরীতে দায় রয়েছে প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা। নিট সম্পদ ও আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য অস্বচ্ছতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় মামলা অনুমোদন করেছে সংস্থাটি।

ডা. ইকবালের ছেলে ইমরান ইকবালের নামে ৪৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। অথচ তার বৈধ আয়ের পরিমাণ ৪০ কোটি টাকার কিছু বেশি। ফলে, তার বিরুদ্ধেও পাঁচ কোটির বেশি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একই ধারায় আরেকটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

এছাড়া, ডা. ইকবালের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পীর নামে ১০ কোটি ৮২ লাখ টাকার সম্পদ শনাক্ত করা হয়েছে, যেখানে তার বৈধ আয়ের তুলনায় ৩৭ লাখ টাকার সম্পদ অতিরিক্ত পাওয়া যায়। একইভাবে, মঈন ইকবালের নামে পাওয়া সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪৮ কোটি টাকা, যেখানে বৈধ আয় অনুযায়ী ৩১ লাখ টাকার সম্পদ অতিরিক্ত রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দুদক তাদেরকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য ২৬(১) ধারায় নোটিশ পাঠিয়েছে।

দুদকের এই পদক্ষেপে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবেই তারা এসব মামলা ও নোটিশ প্রদান করছে। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষ হলেও তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।