ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা

শেখ হাসিনার মামলার ঐতিহাসিক রায় দেখতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

আজকের প্রথা প্রতিবেদন
আজকের প্রথা প্রতিবেদন
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ এ ৩:১৮ এএম
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা জোরদার ব্যবস্থা। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা জোরদার ব্যবস্থা। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকা কঠোর নিরাপত্তার আওতায় নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর যৌথ মোতায়েনের মাধ্যমে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ ও প্রস্থানপথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে এবং প্রতিটি প্রবেশপথে নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে ও ভেতরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‍্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। মাজার গেট এলাকায় সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়ে সমন্বিত নিরাপত্তা তদারকি করছে।

আজ ঘোষিতব্য রায়কে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্টরা জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে জাতি দীর্ঘদিন ধরে রায়ের প্রতীক্ষায় আছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরেও রয়েছে এ রায়; তাই সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বড় পর্দায় বিচারপ্রক্রিয়ার সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য নির্ধারিত দিন ঠিক করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল। এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা, যুক্তিতর্কসহ সকল বিচারিক ধাপ সম্পন্ন হয় অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে। মোট ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

মামলায় পাঁচটি অভিযোগ—উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো—তুলে ধরে প্রসিকিউশন সর্বোচ্চ দণ্ড দাবি করেছে। অপরদিকে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হওয়ায় তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দিয়েছে উভয় পক্ষ। রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের বহুল আলোচিত এই মামলার বিচারকাজ নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।