ভিটামিন সি’য়ের ঘাটতি পূরণে ৫টি প্রাকৃতিক পানীয়


ছবি : সংগৃহীত
শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হলো সবসময় ক্লান্ত বোধ করা, মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা এবং সহজেই ক্ষত হওয়া। ভিটামিন সি পানিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন, তাই শরীর এটি সংরক্ষণ করতে পারে না। তাই প্রতিদিন খাদ্যের মাধ্যমে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যতালিকায় কিছু পানীয় যোগ করলে শরীরে প্রতিদিনের ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
কমলার রস: কমলার রস ভিটামিন সি-এর উল্লেখযোগ্য উৎস। প্রতিদিন মাত্র এক গ্লাস কমলার রস পান করলে দৈনন্দিন ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ হয়। এটি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়, ত্বক উজ্জ্বল থাকে এবং শরীরে আয়রন শোষণও বৃদ্ধি পায়। সকালের নাশতায় তাজা কমলার রস পান করা সবচেয়ে ভালো।
আমলকির রস: আমলকি ভিটামিন সি-এর অন্যতম শক্তিশালী উৎস। একটি আমলকিতে কমলার চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। এর রস পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হজমশক্তি উন্নত হয়, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয় এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এটি মধু বা লবণের সঙ্গে মিশিয়ে খালি পেটে পান করলে আরও উপকারী।
কিউই স্মুদি: কিউইতে কমলার চেয়ে বেশি ভিটামিন সি থাকে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, হজমশক্তি উন্নত করে এবং চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। প্রতিদিন কিউই জুস পান করলে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও বাড়ে।
লেবুর পানি: লেবুর রস ভিটামিন সি-এর গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটি শরীরকে হাইড্রেট রাখে, ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং লিভারের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া উন্নত করে। ত্বকের জন্যও লেবুর পানি খুব উপকারী। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস দিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন। চাইলে মধুও যোগ করতে পারেন।
টমেটোর রস: টমেটোতে থাকা ভিটামিন সি এবং লাইকোপিন শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এর রস পান করলে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। এছাড়াও, এটি ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণগুলোও কমায়।