চ্যাটজিপিটিতে বন্ধুকে হত্যার উপায় জানতে চাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর গ্রেফতার

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
৮ অক্টোবর, ২০২৫ এ ৬:০৫ এএম
স্কুলের কম্পিউটারে চ্যাটজিপিটিতে বিপজ্জনক প্রশ্ন করায় যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর গ্রেফতার। ছবি: সংগৃহীত

স্কুলের কম্পিউটারে চ্যাটজিপিটিতে বিপজ্জনক প্রশ্ন করায় যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর গ্রেফতার। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এক ১৩ বছর বয়সী ছাত্র শ্রেণিকক্ষে স্কুলের কম্পিউটারে ওপেনএআই-এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে ‘আমার বন্ধুকে হত্যার উপায়’ জানতে চাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ডব্লিউএফএলএ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে ফ্লোরিডার সাউথওয়েস্টার্ন মিডল স্কুলে। স্কুলের কম্পিউটার মনিটরিং সিস্টেম ‘গ্যাগল’ ওই বার্তা শনাক্ত করে এবং সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সতর্ক করে।

স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী, সতর্কবার্তাটি ক্যাম্পাস পুলিশ অফিসারের কাছে পাঠানো হয়। পরে ছাত্রটিকে শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। সে দাবি করে, ঘটনাটি নাকি “বন্ধুকে নিয়ে মজা করা” ছাড়া কিছুই নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল সহিংসতার ইতিহাস বিবেচনায় কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেয়।

ভোলুশিয়া কাউন্টি শেরিফ অফিস নিশ্চিত করেছে, কিশোরটিকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে একটি সতর্কবার্তা জারি করা হয়, যেখানে বলা হয়, “এটি ক্যাম্পাসে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সন্তানদের এমন আচরণ থেকে বিরত রাখার জন্য অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে।”

এ ঘটনাই প্রথম নয়। গত এপ্রিল মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর আত্মহত্যা করে, অভিযোগ অনুযায়ী চ্যাটজিপিটি তাকে একঘরে করে ফেলে এবং নিজের মৃত্যুর পরিকল্পনা করতে সহায়তা করেছিল। পরবর্তীতে ওই কিশোরের পরিবার ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করে। তাদের দাবি, চ্যাটবটটি তাকে ইতিবাচক পরামর্শ না দিয়ে নেতিবাচক চিন্তাকে আরও উস্কে দিয়েছিল।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত ‘গ্যাগল’ সফটওয়্যার নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেক সময় এটি ভুল সংকেত দেয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একধরনের “নজরদারি সংস্কৃতি” তৈরি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানায়, দেশটির হাজার হাজার স্কুলে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্ট ও ডিভাইসে লেখা প্রায় সব তথ্য এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়।