এআই মানুষের বিকল্প হতে পারবে না যেসব চাকরিতে


কিছু খাতে এআই দ্রুত জায়গা নিলেও হাতে-কলমে কাজের ক্ষেত্রে মানুষের বিকল্প হতে পারবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।ছবি:সংগৃহীত
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি বিশ্বকে এক নতুন বাস্তবতার সামনে দাঁড় করিয়েছে। জটিল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থেকে শুরু করে কবিতা লেখা, রান্নার রেসিপি সাজানো কিংবা কঠিন গণিত সমাধান— সবকিছুতেই এখন এআই সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট, অফিসের রিপোর্ট তৈরি কিংবা সৃজনশীল কাজেও এর ব্যবহার দ্রুত বেড়ে চলেছে। শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্রমশ এআইয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। এর ফলে চাকরির বাজারে তৈরি হচ্ছে বড় পরিবর্তন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী দিনে চাকরি ও দক্ষতার ওপর আরও গভীর প্রভাব ফেলবে এআই। তবে এ প্রভাব সব খাতে সমান নয়। অনেক ক্ষেত্রে এআই মানুষের বিকল্প হয়ে উঠলেও কিছু খাতে মানুষের প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়বে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অফিস ক্লার্ক, রিসেপশনিস্ট, বুককিপার, সেলস ও মার্কেটিং কর্মী, বিজনেস অ্যানালিস্ট ও সিস্টেম অ্যানালিস্টদের কাজ দ্রুত হ্রাস পাবে। এসব পেশার বড় অংশই এআই করে ফেলতে সক্ষম হবে। তবে বিপরীতে, ক্লিনার, লন্ড্রি কর্মী, কনস্ট্রাকশন ও মাইনিং শ্রমিক, শ্রেণিকক্ষ শিক্ষক, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সেফটি ও হসপিটালিটি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়বে। এসব ক্ষেত্র হাতে-কলমে সম্পাদিত কাজের সঙ্গে জড়িত হওয়ায় সেখানে এআই মানুষের জায়গা নিতে পারবে না।
প্রতিবেদনে নতুন প্রজন্মের কর্মজীবীদের জন্য বিশেষ পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বুককিপিং, মার্কেটিং বা প্রোগ্রামিংয়ের মতো ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় না গিয়ে নার্সিং, নির্মাণ খাত কিংবা হসপিটালিটিতে ক্যারিয়ার গড়লে চাকরির নিরাপত্তা অনেক বেশি থাকবে।
এ ছাড়া ভয়েস আর্টিস্টদের ক্ষেত্রেও সংকট দেখা দিচ্ছে। কণ্ঠ রেকর্ডিংয়ের বড় অংশ ইতোমধ্যে এআই দ্বারা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে। ফলে এ খাতে অন্তত ৮০ শতাংশ কাজ কমে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।