রাজশাহীর তানোরে এক ৩৪ বছর বয়সী গৃহবধূকে অপহরণ করে আত্মীয়ের বাড়িতে আটকে রাখার এবং ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ভিকটিম নিজেই তানোর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এখন আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে এবং ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার মূল অভিযুক্তরা হলেন সাহাপুর গ্রামের সুমন (৪৫), শফিকুল ইসলাম (৪৭) এবং পলাশ (৪২)। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৬ অক্টোবর বিকাল ৩টার দিকে ভিকটিমকে তার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে জোরপূর্বক তুলে নেয় আসামিরা।

তদন্তে জানা গেছে, ওইদিন সুমন এবং অপর দুই আসামি মাইক্রোবাসে ভিকটিমকে রাজশাহীতে নিয়ে যায়। এরপর সুমন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে গাজিপুর জেলার শ্রীপুর লালমাটিয়া এলাকায় নিজের আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমকে একটি কক্ষে সারাদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। ২৮ নভেম্বর ভিকটিমকে রাজশাহীতে ফেরত এনে বাসস্ট্যান্ডে রেখে আসামিরা পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা বিভিন্নভাবে তাকে ও তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

তানোর থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।”

উপসংহার হিসেবে বলা যায়, ভিকটিম এবং তার পরিবার সুরক্ষিত নয় বলে তারা পুলিশের সহযোগিতা ও দ্রুত গ্রেফতারের আশা করছেন। মামলা চলমান থাকায় তদন্তের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।