মিথ্যা খবরে বিভ্রান্ত জনমত - পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ আগস্ট, ২০২৫ এ ৫:৫৩ এএম
মিথ্যা তথ্য রোধে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ

মিথ্যা তথ্য রোধে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘মিথ্যা ও উসকানিমূলক’ সংবাদের বিস্তার ঘটছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের অভিযোগ, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও সরকারকে ঘিরে গুজব ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। শুধু আন্ডারগ্রাউন্ড মিডিয়াই নয়, মূলধারার কিছু সংবাদমাধ্যমেও অপসাংবাদিকতা চলছে। এই প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গত বুধবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মপরিকল্পনাবিষয়ক এক বৈঠকে তারা এই ক্ষোভের কথা জানান।

বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কিছু গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যার কোনো বাস্তবভিত্তি নেই। এমনকি প্রতিবাদ জানানো হলেও তা গুরুত্ব পায়নি। এই ধরনের সংবাদ জনগণকে বিভ্রান্ত করছে এবং সরকারের প্রতি আস্থায় ভাটা ফেলছে বলে মনে করছেন তারা। এজন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তথ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বৈঠকে প্রথম এই ইস্যু উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে নানা ‘মুখরোচক বানোয়াট’ সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, যার সত্যতা একেবারেই নেই। কখনো কখনো কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে মিথ্যা সংবাদ তৈরি হচ্ছে। এসব অপসাংবাদিকতা রোধে তথ্য মন্ত্রণালয়কে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য, উসকানি এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারের মুখেও সরকার সেন্সর আরোপ করেনি কিংবা প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেয়নি।’ তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, অতীতে জোরপূর্বক বন্ধ করে দেওয়া কিছু গণমাধ্যমকে পুনরায় চালুর সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা বাকস্বাধীনতা ও মুক্ত সংবাদমাধ্যমের প্রতি সরকারের অঙ্গীকারের প্রমাণ।

অন্যদিকে, বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে শূন্য পদ দ্রুত পূরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও সেনাবাহিনীতে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দিয়ে আসন্ন নির্বাচনে অধিকসংখ্যক সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং খুব শিগগির বড় আকারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।