সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে পুনরায় জামায়াতের আমির হলেন ডা. শফিকুর


জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ঘটনা দেশে সন্ত্রাসী রাজনীতির সূচনা করেছিল। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির পদে পুনরায় নির্বাচিত হইয়াছেন ডা. শফিকুর রহমান। ২০২৬ হইতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত নির্ধারিত কার্যকালের জন্য তিনি দলটির সর্বোচ্চ এই নেতৃত্বের পদে নির্বাচিত হইয়াছেন। দলীয় অভ্যন্তরীণ এই নির্বাচনে তিনি সর্বাধিক সংখ্যক ভোট লাভ করিয়াছেন বলিয়া ঘোষণা করা হইয়াছে।
দলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম শনিবার দিবাগত রাত্রিতে এই নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানাইয়াছেন যে, সম্প্রতি সমাপ্ত ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার পর সমস্ত ভোটের গোপন গণনা সফলভাবে সমাপ্ত হইয়াছে এবং তাহার পরেই এই ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছে।
গত নয় অক্টোবর হইতে পঁচিশ অক্টোবর তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সারাদেশে বিস্তৃত দলীয় সদস্যগণের নিকট হইতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এই ভোট সংগ্রহ করা হইয়াছিল। ভোটগ্রহণের এই সম্পূর্ণ কার্যক্রম শেষ হইবার পর ভোট গণনার দায়িত্বে নিযুক্ত বিশেষ টিম স্বীয় কার্য সম্পাদন করেন এবং ফলাফল প্রস্তুত করিয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনাররের নিকট পেশ করেন।
প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে, ২০২৬-২০২৮ বৎসরের কার্যকালের জন্য ডা. শফিকুর রহমান সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটারদের সমর্থন লাভ করিয়াছেন। তবে তিনি কত সংখ্যক ভোট পাইয়াছেন অথবা তাঁহার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কোন ব্যক্তি ছিলেন কিনা, সেই সংক্রান্ত কোনো নির্দিষ্ট তথ্য সাধারণ্যে প্রকাশ করা হয় নাই। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ হইতে কেবল এইটুকুই নিশ্চিত করা হইয়াছে যে, তিনি নিরঙ্কুশ সমর্থন লাভ করিয়াছেন।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করিলে, ব্রিটিশ colonial period-এ ভারতের লাহোর নগরীতে মাওলানা মওদূদীর হাত ধরেই জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন হইতে বর্তমান সময় পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও বর্তমান বাংলাদেশে মোট ছয়জন নেতা এই সংগঠনের আমিরের দায়িত্ব পালন করিয়াছেন। ইহাদের মধ্যে ১৯৫৬ হইতে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত মাওলানা আবদুর রহিম, ১৯৬০ হইতে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এবং পুনরায় ১৯৯২ হইতে ২০০০ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক গোলাম আযম, ১৯৭৯ হইতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আব্বাস আলী খান (ভারপ্রাপ্ত), ২০০০ হইতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মতিউর রহমান নিজামী, ২০১৬ হইতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মকবুল আহমদ এবং সর্বশেষ ডা. শফিকুর রহমান ২০১৯ ও ২০২২ সালে টানা দুইবার নির্বাচিত হইয়া বর্তমান সময় পর্যন্ত এই দায়িত্বে বহাল রহিয়াছেন।









