মেটার রাজস্বের ১৬ বিলিয়ন ডলার আসে ভুয়া বিজ্ঞাপন থেকে

প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রযুক্তি ডেস্ক
৯ নভেম্বর, ২০২৫ এ ৬:৫৭ এএম
প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনের অভিযোগে সমালোচিত মেটা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনের অভিযোগে সমালোচিত মেটা। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা (Meta) অবৈধ ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন থেকে বছরে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। মেটার অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালে তাদের মোট রাজস্বের প্রায় ১০ শতাংশই এসেছে ভুয়া ও নিষিদ্ধ বিজ্ঞাপন থেকে।

রয়টার্সের হাতে আসা নথিতে দেখা যায়, গত তিন বছর ধরে মেটা অবৈধ জুয়া, ভুয়া বিনিয়োগ প্রকল্প এবং নিষিদ্ধ ওষুধের বিজ্ঞাপন ঠেকাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এসব বিজ্ঞাপন সাধারণত এমন পণ্য বা সেবার প্রতিশ্রুতি দেয়, যা বাস্তবে নেই। ফলে কোটি কোটি ব্যবহারকারী প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

মেটার নিজস্ব স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম বিজ্ঞাপন যাচাই করে থাকলেও, প্রতিষ্ঠানটি তখনই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে যখন তারা ৯৫ শতাংশ নিশ্চিত হয় বিজ্ঞাপনটি প্রতারণামূলক। এর আগে পর্যন্ত তারা সেই বিজ্ঞাপনদাতার কাছ থেকে আরও অর্থ আদায় করে। এই প্রক্রিয়ায় মেটার রাজস্ব ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।

অভিযোগের বিষয়ে মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন বলেন, “রয়টার্সের প্রতিবেদনটি বিভ্রান্তিকর এবং আমাদের নীতিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে।” তিনি দাবি করেন, গত ১৮ মাসে মেটা ভুয়া বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত অভিযোগ ৫৮ শতাংশ কমাতে সক্ষম হয়েছে এবং ১৩ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন সরিয়ে দিয়েছে।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, মেটা যদি ব্যবহারকারীর নিরাপত্তাকে সত্যিই অগ্রাধিকার দিত, তবে বিজ্ঞাপন যাচাই প্রক্রিয়া আরও কঠোর করা হতো। বর্তমানে ব্যবহারকারীর আস্থা হারিয়ে রাজস্ব বৃদ্ধির দিকেই কোম্পানির মনোযোগ বেশি দেখা যাচ্ছে। তারা সতর্ক করে বলেন, এখনই পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে মেটা নিজেই নিজের ব্র্যান্ডমূল্যের ক্ষতি করতে পারে।