প্রধান উপদেষ্টার সহমর্মিতা আজীবন মনে রাখবো - জামায়াত আমিরের আবেগঘন বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ জুলাই, ২০২৫ এ ৬:১৩ এএম
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং  জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। : ছবি সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। : ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক আবেগঘন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টার সহমর্মিতার কথা স্মরণ করেছেন। রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সহানুভূতি এবং মানবিকতা আজীবন মনে রাখবো।”

তিনি জানান, গতকাল (শনিবার) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এক জনসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জামায়াত আমির বলেন, “অসুস্থতার খবর শুনেই প্রধান উপদেষ্টা আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি তার প্রেস সচিবকে সরাসরি হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন।”

হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আরও কয়েকজন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা তাকে দেখতে গিয়েছিলেন এবং খোঁজ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ

খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ

মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের

খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নেতা আহমদ আলী কাসেমী

এছাড়াও এনসিপি, খেলাফত আন্দোলন ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নেতৃবৃন্দও জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “এই কঠিন সময়ে সকলের যে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা পেয়েছি, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। বিশেষত প্রধান উপদেষ্টার আন্তরিকতার জন্য আমি তার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই।”

এদিকে, জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে আমিরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং চিকিৎসকেরা তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন। নেতাকর্মীদেরকে অযথা উদ্বিগ্ন না হয়ে দোয়া করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার এই মানবিকতা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যেখানে ভিন্নমতের রাজনীতিকরাও বিপদে পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তা দেশের গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।


আজকের প্রথা/মেহেদি-হাসান

 

Advertisement
Advertisement