সকল রাজনৈতিক দলের আবেদন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানি ২৬ আগস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ আগস্ট, ২০২৫ এ ৬:১৪ এএম
হাইকোর্ট ভবন। ছবি : সংগৃহীত

হাইকোর্ট ভবন। ছবি : সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংক্রান্ত রিভিউ আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দেশের সব রাজনৈতিক দল আপিল বিভাগে আবেদন জানিয়েছে। আদালত এ বিষয়ে শুনানির তারিখ আগামী ২৬ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চে এ বিষয়টি উত্থাপন করেন আইনজীবী শিশির মনির। তিনি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, সামনে দীর্ঘ ছুটি শুরু হবে, অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ মামলার শুনানি এখনো সম্পন্ন হয়নি। তালিকায় থাকা সত্ত্বেও শুনানি না হওয়ায় দ্রুত নিষ্পত্তির অনুরোধ করেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি এ সময় বলেন, আদালত সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে, তবে শুনানি শেষ করতে পারবে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। জবাবে শিশির মনির জানান, তারিখ নির্ধারণ করা হলে অন্তত আপাতত সমাধান হবে। এরপর আদালত আগামী ২৬ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা দেয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করেই এ রায় প্রদান করা হয়। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ও আরও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। একইভাবে জামায়াতে ইসলামী ও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাও আপিল বিভাগের কাছে রিভিউ আবেদন জমা দেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রথম চালু হয় ১৯৯৬ সালের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হলেও হাইকোর্ট ২০০৪ সালের রায়ে এটিকে সাংবিধানিক ঘোষণা করে। তবে ২০১১ সালে এটি বাতিল হওয়ার পর থেকে সব জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দলীয় সরকারের অধীনে।

২০০৮ সালের নির্বাচনের পর ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলো দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হলেও সেগুলোকে ‘একতরফা’, ‘রাতের ভোট’ কিংবা ‘ডামি নির্বাচন’ হিসেবে সমালোচনা করা হয়েছে। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাব নিয়ে নতুন করে ঐকমত্য গড়ে উঠছে।