জুলাই যোদ্ধাদের আত্মকর্মসংস্থানে আইসিটির ডিজিটাল প্রশিক্ষণের উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ জুলাই, ২০২৫ এ ১১:৪৫ এএম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ জুলাই যোদ্ধাদের আত্মকর্মসংস্থানে সহায়তা করার লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আজ (বুধবার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটোরিয়ামে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ও ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ পালনের অংশ হিসেবে আয়োজিত ‘ইয়ুথ পাওয়ার: ল্যাঙ্গুয়েজ মুভমেন্ট ১৯৫২ টু কোটা রিফর্ম মুভমেন্ট ২০২৪’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান।

সেমিনারের শুরুতে জুলাই শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়া আইসিটি টাওয়ারের নিচতলায় নবনির্মিত ‘জুলাই কর্নার’ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “গত এক বছরে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই সফল হতে পারিনি, তবে আগামী দিনে কীভাবে সফল হওয়া যায় তা পরিকল্পনা করতে হবে। আমি নিজেও ছাত্রদের সামনে দাঁড়িয়ে লজ্জিত বোধ করি, কারণ আইসিটি বিভাগ তাদের জন্য যথাযথ কিছু করতে পারেনি।”

তিনি আরও জানান, “আগামী মাসগুলোতে আমরা জুলাইয়ের আহত ব্যক্তিদের আইসিটি দক্ষতা দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ জীবন গড়ার সুযোগ করে দেব।”

ফয়েজ আহমদ অভিযোগ করেন, “দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত সফটওয়্যার পার্কগুলো শুধু বিল্ডিং হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে প্রশিক্ষণ বা দক্ষতা উন্নয়নের কোনো ব্যবস্থা নেই।” তিনি জানান, এই অভাব পূরণে সরকার কাজ করছে এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম চালু করবে।

আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “বাঙালি মরতে জানে, কিন্তু হারতে জানে না। জুলাই আন্দোলনে হাজারো মানুষ শহীদ হয়েছে। আমাদের সামনে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর বিভাজনের চেষ্টা চলছে, যা সফল হতে দেওয়া হবে না।”

অতিরিক্ত সচিব মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা বলেন, “জুলাই আন্দোলনে তরুণরা জাতির জন্য আলোর পথ দেখিয়েছে। শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে যদি আমরা তাদের পথ অনুসরণ করতে ব্যর্থ হই।”

জুলাই যোদ্ধা ও ছাত্র প্রতিনিধি আবু বকর সিদ্দীক বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য জুলাই আন্দোলন হয়েছিল। বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

সেমিনারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রফেসর ড. এম মেজবাহ উদ্দিন সরকার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিডিসির নির্বাহী পরিচালক ড. মো. মেহেদী হাসানসহ আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং আন্দোলনে আহত ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

আজকের প্রথা/ইতি