উপ-প্রেস সচিব

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখন দৃশ্যমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
৬ জুলাই, ২০২৫ এ ৯:১৪ এএম
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য এবং এ পরিবর্তন এখন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন। স্ট্যাটাসে তিনি গত বছরের জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ করেন এবং গণমাধ্যমের ভূমিকাও তুলে ধরেন।

আবুল কালাম লেখেন,

“জুলাই আমাদের জীবনে ফিরে আসার পর চারদিন কেটে গেছে। এ মাস আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে ভয়াবহ গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি, আবার জাগিয়ে দিয়েছে আশা ও স্বপ্নের নতুন আলো।”

তিনি বলেন, “জুলাই আমাদের জাতি পুনর্গঠনের নতুন আশা জাগায়, কারণ এখন আমাদের গণমাধ্যমও অবশেষে এটি নিজেদের বিষয় হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। গত চারদিনে কিছু ভালো প্রতিবেদন দেখেছি গণমাধ্যমে, যেখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কেন জুলাই অবশ্যম্ভাবী ছিল।”

তিনি উল্লেখ করেন, “কেউ কেউ গত কয়েক মাসের অর্জন নিয়ে হতাশাও প্রকাশ করেছেন, তবে তা স্বাভাবিক। প্রত্যাশা বেশি থাকলে হতাশাও গভীর হতে পারে।”

আবুল কালাম আরও বলেন, “টেলিভিশন চ্যানেলগুলো এখন বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে— কোনো সরকারি নির্দেশ ছাড়াই। এটি তাদের নিজেদের সংশোধনের সুযোগ। বিদ্রোহের সময় তাদের কাছে সব তথ্য ও হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ ছিল, কিন্তু তারা তা প্রচার করতে পারেনি। এখন তারা সেই দায় মেটানোর চেষ্টা করছে।”

তিনি বলেন, “আমাদের কোনো টেলিভিশন চ্যানেল এখনো সেই স্বৈরাচারী শাসনের সময় তাদের ভূমিকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেনি। বরং কিছু টিভি ও পত্রিকার মালিক সরাসরি সহিংসতা উসকে দিয়েছিলেন। যারা তা করেছেন, তারা অবশ্যই এর পরিণতি ভোগ করবেন।”

তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার সবসময়ই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। একজন ব্যক্তির দোষে আমরা কোনো গণমাধ্যমকে ক্ষতি করতে চাই না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা জানতাম টিভি চ্যানেলগুলোর সীমাবদ্ধতা কী। অনেক সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন— কিভাবে তাদের তথ্য গোপন রাখতে বাধ্য করা হতো, বা সরকারের অনুষ্ঠানের প্রচারে চাপ দেওয়া হতো। আমরা সচেতনভাবেই এই ধরনের চর্চা থেকে বিরত থেকেছি।”

উপ-প্রেস সচিবের মতে, “গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখন বাস্তব এবং এটা শুধু নীতিগত বক্তব্য নয়, কার্যত বাস্তবায়িত হয়েছে।”

 

আজকের প্রথা/এআর