প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, একটি বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে যুবসমাজকে জনসম্পদে রূপান্তর ও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ উপলক্ষে আজ সোমবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “জাতিসংঘের আহ্বানে প্রতি বছরের মতো এবারও ১৫ জুলাই ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ পালিত হচ্ছে—এটি জেনে আমি আনন্দিত।”

তিনি বলেন, “জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে, শিল্পক্ষেত্রে বহুমুখী শ্রমের চাহিদা পূরণ করতে এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে আরও বেশি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে দক্ষ জনশক্তির কোনো বিকল্প নেই। আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে আমাদের যুবসমাজকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করার এখনই উপযুক্ত সময়। এই প্রেক্ষাপটে ইউনেস্কো-ইউনেভোক নির্ধারিত এবারের প্রতিপাদ্য—‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল দক্ষতার মাধ্যমে যুবদের ক্ষমতায়ন’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী।”

প্রধান উপদেষ্টা জানান, দেশ-বিদেশের শ্রমবাজারের চাহিদা বিবেচনায় যুবদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সরকার ইতোমধ্যেই বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে।”

তিনি আরও বলেন, “জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি কার্যকর দক্ষতা উন্নয়ন ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। আমি প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম আরও গতিশীল ও বিস্তৃত করার আহ্বান জানাই।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “একটি আধুনিক, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে যুবসমাজকে দক্ষ করে তুলতে হবে—যাতে তারা পরিবর্তনশীল কর্মক্ষেত্রের উপযোগী হয়ে উঠতে পারে এবং উদ্যোক্তা হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০২৫’ এই লক্ষ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

তিনি দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

আজকের প্রথা/এআর