উৎসবমুখর আয়োজনে

আজ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন অধ্যাপক ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
৫ আগস্ট, ২০২৫ এ ৩:১৪ এএম
অধ্যাপক ড. ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

অধ্যাপক ড. ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

বহুল প্রত্যাশিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠ করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আজ (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টায় ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ঐতিহাসিক এই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্য এবং আহত যোদ্ধারা উপস্থিত থাকবেন। একইসঙ্গে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে দিনব্যাপী আয়োজন চলবে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউজুড়ে। অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে এবং শেষ হবে রাত ৮টায় আর্টসেল ব্যান্ডের পরিবেশনার মাধ্যমে।

সূত্রমতে, সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ২৬ দফার এই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করেছে। এর মধ্যে প্রথম ২১ দফায় মহান মুক্তিযুদ্ধ, অতীতের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এবং জুলাই অভ্যুত্থানের পটভূমি তুলে ধরা হয়েছে। শেষ ৫টি দফায় রয়েছে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কার, বিচার, মানবাধিকার, শোষণমুক্ত সমাজ এবং বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার।

ঘোষণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে, “ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪”–এর উপযুক্ত সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে। পরবর্তী নির্বাচনে গঠিত সরকারের মাধ্যমে সংশোধিত সংবিধানের প্রস্তাবনায় এর উল্লেখ থাকবে এবং তফশিলে সংযুক্ত করা হবে এ ঘোষণাপত্র, যা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে কার্যকর বলে বিবেচিত হবে।

বিএনপি পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের ইতিহাস যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “জাতির জন্ম ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না। আমরা আশা করি, এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটি যথাযথভাবে উপস্থাপিত হবে।” তিনি আরও জানান, সংশোধনী গৃহীত না হলে দলটি ঘোষণাপত্র পাঠের পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে।

প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়েছে, “গত বছর এই দিনে ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণ-অভ্যুত্থান এক নতুন ইতিহাস রচনা করেছিল। এবার সেই ঐতিহাসিক দিনে জাতির কাঙ্ক্ষিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করা হবে।”

অনুষ্ঠানে থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, গান, নাটক, এবং ড্রোন প্রদর্শনী। এতে কলরব, সাইমুম, মৌসুমী, সায়ানসহ জনপ্রিয় শিল্পীরা অংশ নেবেন। আয়োজন করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ব্যবস্থাপনায় থাকবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং সহযোগিতায় থাকছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।

এ উপলক্ষে সারা দেশ থেকে ছাত্র-জনতাকে আনার জন্য ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। কর্মসূচি শেষে এই ট্রেনগুলোতেই তাদের গন্তব্যে ফেরত পাঠানো হবে।