মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ) থেকে প্রায় ৫০০ সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই পদক্ষেপে প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ও সংবাদ পরিবেশনের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) ভিওএ’র মূল সংস্থা ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রধান কারি লেক জানান, সরকারি ব্যয় কমানো এবং প্রশাসনিক জটিলতা দূর করার উদ্দেশ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মতে, এই উদ্যোগ সেবার মান বাড়াবে এবং করদাতাদের অর্থ সাশ্রয় করবে। তবে কর্মীদের ইউনিয়ন একে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসকে জানায়, এটি সরাসরি সাংবাদিকদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে নাৎসি প্রচারণার মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠিত ভিওএ বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। আদালত নথি অনুসারে, মোট ৫৩২টি পদ বাতিল করা হবে, যার মধ্যে অধিকাংশই ভিওএ’র। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ভিওএতে মাত্র ১০৮ জন কর্মী অবশিষ্ট থাকবে।

এর আগে জুন মাসে কারি লেক প্রায় ৬৩৯ জনকে বরখাস্তের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তবে কাগজপত্রের জটিলতার কারণে সেটি কার্যকর হয়নি। এ ঘটনায় কিছু কর্মী মামলা দায়ের করেন। ঠিক এর একদিন আগে আদালত রায় দিয়েছিল যে ভিওএ’র পরিচালক মাইকেল আব্রামোভিৎজকে বরখাস্ত করার সময় নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি।

সমালোচকরা বলছেন, ভিওএ সংকুচিত করার এ উদ্যোগ আসলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নরম কূটনৈতিক শক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে। বর্তমানে ভিওএ প্রায় ৫০টি ভাষায় টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সংবাদ ও অনুষ্ঠান প্রচার করে।