গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৯ হাজার শিশু প্রাণ হারিয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
২০ আগস্ট, ২০২৫ এ ৯:২৫ এএম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসী অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৮ হাজার ৮৮৫ শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
গাজার সরকারি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বুধবার (২০ আগস্ট) আল জাজিরা এই তথ্য প্রকাশ করেছে।


জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, গাজায় শিশুদের জন্য আর কোনও নিরাপদ আশ্রয় নেই। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে তীব্র খাদ্য সংকট ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।


জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলো ঘরবাড়ি ধ্বংসের পর থেকে লাখো মানুষকে আশ্রয় দিচ্ছে। তবে সংস্থার মতে, “ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের পতাকার নিচে আশ্রয় চেয়েছে, কিন্তু সেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও হামলার শিকার হচ্ছে। এগুলো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে, যেখানে অসংখ্য শিশু প্রাণ হারাচ্ছে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।”


ইউএনআরডব্লিউএ ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে আবার হামলা শুরু করার পর গত পাঁচ মাসে প্রতি মাসে গড়ে ৫৪০ জনের বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
আল জাজিরার হাতে আসা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ১২ বছর বয়সী আমনা আল-মুফতি পরিবারের জন্য পানি আনতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। ভিডিওতে তার বাবার হৃদয়বিদারক আহাজারি ধরা পড়েছে।


জাতিসংঘের সতর্কবার্তার মধ্যেও মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আটজন খাদ্যসাহায্যের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত জিএইচএফের বিতরণকেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালানোর ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এভাবে খাদ্য সহায়তার লাইনে প্রাণ হারানো শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা মে মাসের শেষ থেকে প্রায় দুই হাজারে পৌঁছেছে।


গাজার হাসপাতালগুলো জানিয়েছে, খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রে হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। দেইর আল-বালাহতে একটি তাঁবুতে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে গাজার জেইতুন এলাকায় বিমান হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া শহরের দক্ষিণাংশ এবং পূর্ব গাজার তুফাহ এলাকায় ভারী গোলাগুলি ও বাড়ি ধ্বংসের খবর পাওয়া গেছে।