গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত-খাদ্যাভাবে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়াল ২৮৯

আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
২৫ আগস্ট, ২০২৫ এ ৩:১৪ এএম
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত। ছবি : সংগৃহীত

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত। ছবি : সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার নৃশংসতা অব্যাহত রয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) দিনব্যাপী চালানো হামলায় অন্তত ৫১ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। একই দিনে মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে আরও ২৪ জন নিহত হন। এছাড়া খাদ্যাভাব ও অপুষ্টিতে মারা গেছেন আরও আটজন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের দাবি অনুযায়ী, চলমান সামরিক অভিযানে গাজার জেতুন ও সাবরা মহল্লায় এক হাজারেরও বেশি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। সংস্থাটির মতে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও শত শত মানুষ চাপা পড়ে আছেন। টানা গোলাবর্ষণ ও অবরুদ্ধ সড়কের কারণে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এক বিবৃতিতে সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। হাসপাতালগুলোতে আহতদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। নিখোঁজ মানুষের খবর এলেও জরুরি কর্মীরা সাড়া দিতে পারছেন না। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজার কোনো এলাকাই নিরাপদ নেই। উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত বেসামরিক ঘরবাড়ি, আশ্রয়কেন্দ্র এমনকি ত্রাণশিবিরও বোমা বর্ষণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। আল-জালাআ সড়কের একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন শিশু রয়েছে বলে জরুরি বিভাগ জানিয়েছে।

অবরুদ্ধ এলাকায় দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অবিরাম বোমাবর্ষণ ও খাদ্য সংকটে স্থানীয়দের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একাধিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অনাহার ও অপুষ্টিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৯ জনে, যার মধ্যে ১১৫ জন শিশু।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে মৃত্যুর মিছিল আরও দীর্ঘ হবে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।