গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৫

আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ এ ৩:৫৯ এএম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের তীব্র হামলায় ধ্বংস হয়েছে গাজা সিটির আরও একটি বহুতল ভবন। এ ঘটনায় একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৫ জন ফিলিস্তিনি। এর আগে চলমান হামলায় ইতোমধ্যেই প্রায় ৫০টির বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে, ফলে হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয় হারিয়েছেন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার আল-রুয়া টাওয়ার গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে অন্তত ২৪টি অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান, একটি ক্লিনিক ও জিম মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যদিও ইসরায়েলের দাবি, তারা সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করছে, কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন সাধারণ মানুষই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর আগে গত কয়েকদিনে সউসি টাওয়ার ও মুশতাহা টাওয়ারেও হামলা চালানো হয়।

গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, একের পর এক বহুতল ভবন ধ্বংসের ঘটনায় শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আল-রুয়া টাওয়ারে হামলার দিনই নিহত ৬৫ জনের মধ্যে ৪৯ জন ছিলেন গাজার উত্তরাঞ্চলের সাধারণ বাসিন্দা। বাসিন্দারা বলছেন, ইসরায়েল দক্ষিণে সরতে বললেও সেখানে কোনো নিরাপদ জায়গা নেই, কারণ হামলা চালানো হচ্ছে সর্বত্রই।

এদিকে ফিলিস্তিনি এনজিও নেটওয়ার্কের প্রধান আমজাদ শাওয়া জানান, পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, সবাই আশ্রয় হারাচ্ছে। আল জাজিরার সাংবাদিকরাও জানিয়েছেন, গাজা সিটির বিভিন্ন এলাকায় প্রতি পাঁচ থেকে দশ মিনিট পরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সাবরা ও জেইতুন এলাকাসহ একাধিক স্থানে ভয়াবহ বোমাবর্ষণ চলছে।

উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, শেখ রাদওয়ান এলাকায় ঘরবাড়ি, স্কুল, মসজিদ ও সরকারি ভবনে হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি পশ্চিম গাজার আল-ফারাবি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তর করা হয়েছিল, কিন্তু সেখানে বোমা হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুও ছিল।

গত আগস্টে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন দেয়। এরপর থেকেই হামলা আরও বেড়েছে। আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও হামলা থামার কোনো লক্ষণ নেই। ফলে গাজার সাধারণ মানুষের জীবন এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।