স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্ব সংকট

আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ এ ৯:৫৯ এএম
ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত : ছবি সংগৃহীত

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত : ছবি সংগৃহীত

জাতিসংঘের বৈশ্বিক সম্মেলনে সম্প্রতি ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়ামসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৫৬টি দেশ ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান করল। গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতীকী অবস্থান হিসেবেই এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হলে সেটি পরিচালনার দায়িত্ব কে নেবে—এই প্রশ্ন এখন সবচেয়ে বড় আলোচ্য বিষয়। বর্তমানে পশ্চিম তীরে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আংশিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখলেও গাজায় হামাসের প্রভাব বলয় বিদ্যমান। এ বিভক্তি দীর্ঘ ১৮ বছরের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও আঞ্চলিক অস্থিরতার প্রতিফলন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার কারণে ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের বর্তমান নেতৃত্বে আস্থা হারিয়েছে। নতুন নেতৃত্বের দাবি জোরালো হলেও নির্বাচন না হওয়ায় এই প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে আছে। বিশেষ করে জনপ্রিয় নেতা মারওয়ান বারঘৌতি কারাগারে থাকায় নেতৃত্ব সংকট আরও প্রকট হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, সুযোগ পেলে জনগণ তাকে বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে বেছে নিতে পারে।

অন্যদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিরোধিতা করে আসছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, গাজা কিংবা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ নেই। বরং নতুন বসতি স্থাপন ও প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পথ আরও কঠিন করে তোলা হচ্ছে।

ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়, ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠিত হলে তা পরিচালনায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষই দায়িত্ব নেবে। হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে বাস্তবে রাজনৈতিক বিভাজন, নেতৃত্ব সংকট ও ইসরাইলি বাধার কারণে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার পথ এখনও অনিশ্চিত।