গাজায় ২ বছরে ৬৭ হাজার ফিলিস্তিনির প্রাণহানি


গাজা। ছবি:সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বর্বরতার দুই বছর পূর্ণ হলো আজ মঙ্গলবার। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরাইল। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও সেই হামলা এখনো অব্যাহত, আর নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ হাজার ফিলিস্তিনি।
প্রথম থেকেই গাজায় শুধু বিমান বা স্থল হামলাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি ইসরাইলি বাহিনী। তারা পুরো উপত্যকাটিকেই অবরোধ করে রেখেছে, বন্ধ করে দিয়েছে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরবরাহ। ফলে ভয়াবহ ক্ষুধা, অপুষ্টি ও মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে গাজার লাখো মানুষ।
বিশ্লেষকদের মতে, হামাসকে নির্মূলের নামে দুই বছর ধরে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। এতে গাজা পরিণত হয়েছে এক বিশাল ধ্বংসস্তূপে। চাথাম হাউসের বিশ্লেষক সানাম ভাকিল বলেন, “ইসরাইল গাজায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলেও তাদের প্রকৃত অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ। বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি একঘরে হয়ে পড়েছে তেল আবিব।”
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, গাজায় ইসরাইল সরাসরি গণহত্যা চালাচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বশেষ তদন্ত প্রতিবেদনে গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ডকে ‘জাতিগত নিধন’ বা জেনোসাইড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, “ইসরাইলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের জীবন ধ্বংস করছে এবং তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলছে।”
দুই বছরে ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছে ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ। ফিলিস্তিনের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করায় ইরান, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও কাতারেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী, যা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।









