গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল একই পরিবারের ৩০ জনের মরদেহ

আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ এ ৩:২৮ এএম
গাজা সিটির আল-রিমাল এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

গাজা সিটির আল-রিমাল এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের পশ্চিম গাজা সিটির আল-রিমাল এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একই পরিবারের অন্তত ৩০ জন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইসরাইলি বিমান হামলায় সালেম পরিবারের বাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পর শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযানে প্রথম দফায় এই মরদেহগুলো পাওয়া গেছে।

সিভিল ডিফেন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়, হামলার সময় বাড়িটিতে পরিবারের বহু সদস্য অবস্থান করছিলেন। উদ্ধারকৃতদের সবাই সালেম পরিবারের সদস্য বলে শনাক্ত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের ধারণা, ওই হামলায় নিহত পরিবারের সদস্যসংখ্যা ৬০ জন পর্যন্ত হতে পারে, যাদের অনেকেই এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ধ্বংস হওয়া এই বাড়িটিই ছিল গাজাজুড়ে সংগঠিত উদ্ধার অভিযানের প্রথম স্থান। লক্ষ্য হচ্ছে ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নিচে আটকে পড়া ফিলিস্তিনিদের শনাক্ত করা এবং মরদেহ উদ্ধার করা। সীমিত সরঞ্জাম ও জনবল নিয়ে কাজ করায় উদ্ধার কার্যক্রম অত্যন্ত ধীরগতিতে এগোচ্ছে।

সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তারা জানান, একটি মাত্র এক্সকাভেটরসহ অপ্রতুল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। পরিস্থিতির ঝুঁকি ও কাঠামোগত অস্থিরতার কারণে উদ্ধারকাজে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দাবি, গাজার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা বর্তমানে ইসরাইলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকার কথা থাকলেও উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে হামলা অব্যাহত রয়েছে, যা বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগকে আরও জোরালো করেছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার। নিহতদের বড় অংশই নারী ও শিশু। মানবিক সংকটের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।