ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আরও ১৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সহিংসতায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ১৫৮ জনে।

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বুধবার (৬ আগস্ট) এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, একদিনেই ১৩৮ জনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ৭৭১ জন। ফলে এখন পর্যন্ত আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪২ জনে।মন্ত্রণালয় আরও জানায়, অনাহার ও অপুষ্টির কারণে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এভাবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অনাহারে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯৩ জন, যাদের মধ্যে ৯৬ জন শিশু।

মানবিক সাহায্য নিতে গিয়ে প্রাণ হারানোর ঘটনাও বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সহায়তা নিতে গিয়ে ৮৭ জন নিহত ও ৫৭০ জন আহত হয়েছেন। এ পর্যন্ত এই ধরনের ঘটনায় মোট ১ হাজার ৬৫৫ জন নিহত এবং ১১ হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছেন। গত ১৮ বছর ধরে গাজায় অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরাইল। চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে সব ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বড় বাধা তৈরি হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ২৭ জুলাই থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত মাত্র ৮৪৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। অথচ এ সময়ে প্রয়োজন ছিল অন্তত ৬ হাজার ট্রাক।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলি ভূখণ্ডে হামলা চালায়। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এর পরপরই ইসরাইল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনও চলমান। যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও, ১৮ মার্চ থেকে ফের ইসরাইলি বাহিনী গাজায় অভিযান শুরু করেছে।

এদিকে, গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। একইসঙ্গে, ইসরাইলকে গণহত্যার মামলার সম্মুখীন করেছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত।

📌 মেটা বর্ণনা (Meta Description):